আন্তর্জাতিক

নির্ভয়া-ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝুলাবেন তিনি, পাওনা টাকায় হবে মেয়ের বিয়ে

ভারতের দিল্লিতে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ২৩ বছর বয়সী মেডিকেলছাত্রী নির্ভয়াকে ছুড়ে ফেলা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই মামলার চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

Advertisement

২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা নির্ভয়ার চার দোষীকে। তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দায়িত্ব পেয়েছেন পবন নামের এক জল্লাদ। আর এ কাজের জন্য তিনি পাবেন এক লাখ টাকা। সেই টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে চান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫ হাজার টাকা পান পবন জল্লাদ। তবে তিনি চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কাজটি নিজের সারতে চান। এর ফলে তিনি পাবেন এক লাখ টাকা।

Advertisement

২২ জানুয়ারি নির্ভয়ার চার আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা রয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে ফাঁসির তারিখ পিছিয়েও যেতে পারে।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিদের ফাঁসি দেয়ার জন্য ৫৭ বছর বয়সী পবন জল্লাদকে বেছে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে পবন জল্লাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে। ফাঁসির দড়ি থেকে শুরু করে মঞ্চ-সবই ঠিকঠাক দেখে নিয়েছেন জল্লাদ পবন। ওপর থেকে নির্দেশনা এলেই তার হাতে ঝুলবে এই নির্ভয়ার ধর্ষকরা।

চার দোষীকে ফাঁসি দেয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি পবন জল্লাদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখন জেল কর্তৃপক্ষের থেকে পাঁচ হাজার টাকা মাসোহারা পাই। আমার সাত ছেলেমেয়ে। পাঁচ মেয়ে, তিন ছেলে। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আর এক মেয়ের বিয়ে সামনে। হাতে টাকা নেই। ওই চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলালে লাখখানেক টাকা পাব। তা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে পারব। তাছাড়া ওই চারজনকে শাস্তি দিতে পারাটা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের।’

তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফাঁসির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ফাঁসির মঞ্চও তৈরি। তাই নির্ভয়া-ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

এসআর/পিআর