চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ (সোমবার)। নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সে জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তারা।
Advertisement
তারপরও এই নির্বাচন ঘিরে প্রার্থী, তাদের কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনাসহ নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। কারণ এই প্রথম চাঁদপুর জেলার মধ্যে হাইমচরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট নিয়ে হাইমচরের মেঘনার দুর্গম চরাঞ্চল এবং সমতল এলাকায় গোলযোগ হয়। তাই অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই ভোটযুদ্ধ সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে পরিচিত না হওয়ার কারণে আগে থেকেই মক ভোটিং করা হয়েছে।
এবার হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির ইসহাক খোকন এবং আনারস প্রতীক নিয়ে আব্দুল মোতালেব জমাদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে আব্দুল মোতালেব জমাদারকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
হাইমচরে মোট ভোটার ৮০ হাজার ২৩৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪১ হাজার ৪১৭ জন এবং নারী ভোটার ৩৮ হাজার ৮১৭ জন। হাইমচরের ছয়টি ইউনিয়নের ৩১টি কেন্দ্রে এই প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটকক্ষ রয়েছে ২০০।
Advertisement
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইভিএম পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। রোববার নির্বাচনের সকল সরঞ্জামাদি কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানো হয়েছে।
চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, সবগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরেও পুলিশের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এতে কোনো ধরনের অনিয়ম এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে।
ইকরাম চৌধুরী/বিএ/পিআর
Advertisement