তিনি বলেছেন, আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই এবং সেটা জাতীয় দলের চেয়ে ঘরোয়া পারফরমার হিসেবেই বেশি। তবে বিসিবি চাইলে জাতীয় দলে খেলতেও আপত্তি নেই। এমন কথা বলার ৪৮ ঘণ্টা পার না হতেই জানা গেল, তিনি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে নারাজ। তার বদলে অন্য কাউকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে কি নিজেকে জাতীয় দলের বাইরের সদস্য ভাবতে শুরু করেছেন দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ও সফলতম অধিনায়ক? তাই যদি না হবে, তাহলে শনিবার খুলনা টাইটান্সের ভিনদেশি লরি ইভান্সের জোরালো হিট ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাঁ হাতের তালুতে অতো জোরে ব্যথা পাওয়া এবং তালু ফেটে চৌচির হয়ে ১৪টি সেলাই দেয়ার পরও কেন বিষয়টা বিসিবির প্রধান চিকিৎসককে জানাননি মাশরাফি?
Advertisement
শুনে অবাক হবেন, বাঁ হাতের তালুতে ১৪টি সেলাই লাগলেও মাশরাফি বিসিবির চিকিৎসককে কিছুই জানাননি। তারচেয়ে অনেক ছোট ইনজুরির শিকার হয়েও অনেক জাতীয় ক্রিকেটার জাতীয় দলের চিকিৎসককে জানিয়ে থাকেন; কিন্তু মাশরাফি এবার কিছুই জানাননি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য দিয়ে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে কিছুই জানি না। মাশরাফি কিছু জানাননি। আর তার দল ঢাকা প্লাটুন থেকেও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি বরং সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি মাশরাফির এমন ইনজুরির খবর। আমি জানলে বলতে পারতাম, তার প্রকৃত অবস্থা কেমন। এমন অবস্থায় খেলা সম্ভব সম্ভব কি-না, তাও বলতে পারছি না।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএসএইচ
Advertisement