ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেলে শনিবার সকালে ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনার পেছনে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছে তেহরান। ইরানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভুলবশত এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বুঝতে ভুল হওয়ার কারণেই ইউক্রেনের ওই বিমানে আঘাত হেনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। উপযুক্ত তদন্তের পর দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের এই স্বীকারোক্তির পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ইউক্রেন ও কানাডা সরকার। সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট করে এই নারকীয় ঘটনার জন্য ইরানের শাস্তি দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেলের বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার পরেই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমরা আশা করব এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে চরম শাস্তি দেওয়া হবে। বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে এই ঘটনার সত্যতা সবার সামনে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সরকারিভাবে ক্ষমা চাইতে হবে তাদের।
এই ঘটনার তদন্ত যাতে নিরপেক্ষ ও দ্রুত হয় সেটা দেখাও তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা ইউক্রেন থেকে এর তদন্তের জন্য ৪৫ জন বিশেষজ্ঞকেই দুর্ঘটনাস্থলে পাঠাতে চাই। তাদের যেন সব রকমের সাহায্য করা হয়। আর এই ঘটনায় ইউক্রেনের যে নাগরিকদের প্রাণ গিয়েছে তার জন্যও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাই।
Advertisement
এই ঘটনার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। সরকারি এক বিবৃতিতে তিনি মৃতদের পরিবার ও তাদের প্রিয়জনদের কথা ভেবে ইরানকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন। তার কথায়, এটা জাতীয় বিপর্যয়। কানাডার সমস্ত নাগরিক এই ঘটনায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে। মৃত ৬৩ জন নাগরিকের পরিবারকে এর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে। প্রকাশ্যে ক্ষমা স্বীকার করে বিবৃতি দিতে হবে।
টিটিএন/পিআর