এবার ভারত সফর বাতিল করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আগামী ১৩-১৪ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন রাইসিনা সংলাপে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি।
Advertisement
ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিতর্ক তৈরির পর এ নিয়ে বাংলাদেশের চার মন্ত্রীর দিল্লি সফর বাতিল হলো।
এসব সফর বাতিল নিয়ে মুখ খোলেনি সরকার। অভ্যন্তরীণ ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সফরগুলো বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিলের কারণ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ভারতে যাচ্ছেন না। তিনি ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরেই মধ্যপ্রাচ্যের দূতদের আগামী দিনের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিতে ১৩ জানুয়ারি দূত সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর ভারত সফর বাতিল হয়। এর এক সপ্তাহ পরই দুই দেশের নদী কমিশনের বৈঠকও বাতিল হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যেও একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কেননা সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ আনেন। ঢাকা রাখঢাক না করেই নিজেদের ক্ষোভ ভারতকে জানিয়ে আসছে। পর পর কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের ভারত সফরের কর্মসূচি বাতিলই তার প্রমাণ।
অমিত শাহের মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টির পরে অবশ্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয় যে, বিগত সরকার ও সামরিক শাসনের অপব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
Advertisement
জেপি/এনএফ/এমএস