সারাদেশে শুরু হয়েছে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
Advertisement
ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, বিমানবন্দর, ফেরিঘাট, ব্রিজ টোল প্লাজা এবং খেয়া ঘাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
৬ মাস বয়স থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে গতকাল এক অনুষ্ঠানে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এবার সারাদেশে দুই কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে রাজধানীর সিটি নির্বাচন এবং ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় ১১ জানুয়ারির বদলে ২৫ জানুয়ারি এ কর্মসূচি চালানো হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ কর্মসূচির আওতায় ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউপির প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের খুঁজে ক্যাম্পেইনের পরের চার দিন বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনটি সফল করতে মোট দুই লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
ডিএনসিসিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেছেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই। শনিবার সকালে মিরপুর সেকশন ১ এর নেকিবাড়িরটেক নগর মাতৃসদনে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ৬২৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অন্যদিকে ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৪ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ডিএনসিসির আওতাভুক্ত ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
কোনো কারণে কোনো শিশুকে নির্ধারিত তারিখে ক্যাপসুল খাওয়ানো না গেলে তাদের জন্য পরবর্তীতে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
এএস/এফআর/এনএফ/এমএস
Advertisement