খেলাধুলা

মুশফিকের সেঞ্চুরি এবার আরও কাছে, তবু বহু দূরে...

১৯ ওভার শেষে তার সংগ্রহ ৫৩ বলে ৯২ রান। নাটকীয়ভাবে শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেলেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে লেগবাই থেকে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে চলে গিয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ও রিভিউয়ের কারণে সেই রান বাতিল হয় এবং স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেয়া হয় মুশফিকুর রহীমকে।

Advertisement

ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। পুরো ইনিংসে দারুণ সব শট খেলে নব্বই'র ঘরে যাওয়া মুশফিকের জন্য সে ওভারে ৮ রান নেয়া বড় কোনো বিষয় ছিল না। প্রথম বল ডট দেয়ার পর দ্বিতীয় বলেই থার্ডম্যান বাউন্ডারি দিয়ে ৪ মেরে সেই বার্তাই যেন দিলেন মুশফিক। যার ফলে শেষের ৪ বলে সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল মাত্র ৪ রান।

কিন্তু টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি যেন মুশফিকের ভাগ্যেই লেখা নেই। যে কারণে পরের ৫ বলে তিনটি বল মোকাবেলা করেও ৪ রান নিতে পারেননি খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক। ওভারের তৃতীয় বৈধ বল করার আগে দুইটি ওয়াইড করে বসেন সৌম্য। পরের বলে সিঙ্গেল নেন মুশফিক। এরপর ভুল করে বসেন নাজিবুল্লাহ। ডট খেলেন চতুর্থ বল, তবে সিঙ্গেল নেন পঞ্চম বলে।

শেষ ওভারের শেষ বলে মুশফিক তখন ৫৬ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত। দরকার ছিলো মাত্র ৩ রান। সৌম্যর করা ফুলটস ডেলিভারিতে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক। যার ফলে তিনি অপরাজিত থেকে যান ৫৭ বলে ৯৮ রান করে। সেঞ্চুরি না পেলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে থামলেন মুশফিক। দুইটি ইনিংসই চলতি বিপিএলে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে মুশফিক আউট হয়েছিলেন ৯৬ রান করে। সেদিনও তিনি লো ফুলটস ডেলিভারিকে বাউন্ডারি ছাড়া করতে গিয়েই ধরা পড়েন ওয়াইড লংঅন অঞ্চলে।

Advertisement

সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে বিশাল এক সংগ্রহ অবশ্য এনে দিয়েছেন খুলনার অধিনায়ক। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ ১৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছেন ২১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। মুশফিকের ৯৮ ছাড়াও আহত অবসর হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে মেহেদী মিরাজ খেলেছেন ৪৫ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

এসএএস/এমকেএইচ