ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
Advertisement
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
খসরু বলেন, ইভিএম যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ জীবনে কোনো দিন ভোটের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না। কোনো দিন নির্বাচিত সরকার পাবে না, সংসদ পাবে না, স্থানীয় সরকারও পাবে না। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। আমাদেরকে তার মুক্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তারা (বর্তমান সরকার) ২০১৪ সালে ভোটার ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালে মধ্যরাতে নির্বাচন করেছে। এখন তারা দেখছে ব্যালট পেপারে ভোট ডাকাতির দিন শেষ হয়ে গেছে, তাই তারা একটা নতুন পদ্ধতি বের করেছে, সেটা হলো ইভিএম।
Advertisement
তিনি বলেন, ইভিএম হচ্ছে নিঃশব্দে নীরবে নির্দেশিত হয়ে ভোটচুরির একটা প্রকল্প। এই ইভিএমের যে আসল উদ্দেশ্য সেটা আমাদেরকে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আপনারা যে যেখানে যাবেন ইভিএমের বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। বলবেন, ইভিএমের মাধ্যমে তারা (বর্তমান ক্ষমতাসীন দল) আবার বাংলাদেশের ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে।
আমির খসরু বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে অনেকে আমাদের জিজ্ঞাসা করছেন, কেন আমরা এই নির্বাচনে যাচ্ছি? যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ব্যবস্থার কোনো আস্থা নেই। যেখানে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার ওপর আস্থা নাই। দেশের মানুষের ভোট প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই, সেখানে কেন যাচ্ছেন?
আমরা বলছি, আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, এই দলটি সৃষ্টি হয়েছিল একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করা হয় জন্য। আইনের শাসন কায়েম করার জন্য। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আমাদের এই বিষয়গুলো আদায় করতে হলে বাংলাদেশে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজীব ধর তমাল এবং সঞ্চলনায় ছিলেন সীমান্ত দাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অর্পনা রায় প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস