বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরুর দিন উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা।
Advertisement
এ বিষয়ে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উপ-পরিচালক এবং মেলার সদস্য সচিব আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরুর দিন শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের মেলায় বাংলাদেশের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, অষ্ট্রেলিয়া, ভুটান, বুনাই, দুবাই, ইতালি ও তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো।
Advertisement
মেলায় ক্রেতারা যেসব পণ্য কিনতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্য সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়া জাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন সামগ্রী, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ঘড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, সিরামিকস, টেবলওয়্যার, ক্যাবল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পজাত পণ্য, উপহার সামগ্রী, কনস্ট্রাকশন সামগ্রী, হোম ডেকর, বেকারি পণ্য ইত্যাদি।
মেলার প্রথম দিনে থেকেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করলেও আগের বছরের তুলনায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশ কম।
এ বিষয়ে মেলার ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের মালিক মীর শহিদুল বলেন, এবার বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। পরিস্থিতি যা তাতে মনে হচ্ছে এবার ইজারা নিয়ে লোকসান গুনতে হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, বিভাগীয় শহরগুলোতে, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে। এসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। অনুষ্ঠান যাতে বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণ দেখতে পায়, সে জন্য টিভি স্ক্রিন বসানো হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, কাউন্টডাউন উদ্বোধনের দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগিতা করবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তাকর্মীরা বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডে কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানে দুই হাজার আমন্ত্রিত অতিথি ও ১০ হাজার দর্শক থাকবেন। দর্শক যারা যাবেন, তারা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করে যেতে পারবেন।
এমএএস/এমএসএইচ/এমএস