জাতীয়

সন্ত্রাসমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার কারণে সারা বিশ্বে অনন্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সুপরিচিত হয়েছে; যেখানে সন্ত্রাসমুক্ত করা গেছে।

Advertisement

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জাতীয় শিশু চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ টেররিজমের হাব হিসেবে তৈরি করতে পারবে না।’ আমরা সেটি বাস্তবায়ন করেছি। যার ফলে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের সম্মান বেড়েছে।”

প্রধানমন্ত্রীর মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণার কথা উল্রেখ করে ড. মোমেন বলেন, আমাদের অনেক তরুণ ছেলেমেয়েরা সময়ে সময়ে মাদকে আসক্ত হন। আপনারা সবাই মাদককে না বলবেন। মাদক নিজের জীবনকে ধ্বংস করে, পরিবারের ধ্বংস আনে, সমাজকে ধ্বংস করে। আপনারা এর ধারেকাছে যাবেন না।

Advertisement

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন আজকে আমরা অর্জনের পথে আছি। তারই সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারণে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আমাদের স্বপ্ন-সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি। আমরা এখন এমন রাষ্ট্রের কল্পনা করতে পারি যা হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী স্থিতিশীল অর্থনীতির, যেখানে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান শিক্ষাসেবা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, আর এই অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াও সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সোনার মানুষ। যারা সোনার মানুষ হবে তাদের সবল, সৎ ও একাগ্রচিত্তের লোক হতে হবে। তারা স্বাস্থ্যবান লোক হবে, তাদের স্বপ্ন থাকবে উন্নত। বড় স্বপ্ন থাকলে বড় অর্জনও সম্ভব হয়।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জাতীয় শিশু চ্যাম্পিয়নশিপের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, বাংলাদেশ শিশু ফেডারেশনের সভাপতি ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন।

Advertisement

টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো-সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি), বিকেএসপি, ডাক বিভাগ এবং সকল জেলা ও বিভাগীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কথা স্মরণ করে ড. মোমেন বলেন, তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি উন্নত হৃদয়ের লোক ছিলেন। দুর্ভাগ্য যে, তাকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি আর নেই।

জেপি/এসআর/এমএস