ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেইমানিকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় হত্যার পর, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা প্রতিশোধ নিলো ইরানও। ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৮০ সন্ত্রাসী’ হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে ইরান। এই হামলার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও।
Advertisement
ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই যুদ্ধাবস্থা পরিস্থিতির কারণে ভীত হয়ে পড়েছে লা লিগার ক্লাব বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
কারণ, স্পেনের দুই সেরা ক্লাব এখন অবস্থান করছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বাকি দলটি হচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সুপারকোপা ডি এস্পানার ফাইনাল খেলার জন্য রিয়াদে গিয়ে হাজির হয়েছে বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব কিংবা যুদ্ধপ্রবণ এলাকা থেকে অনেক দুরে রয়েছেন মেসিরা। কিন্তু বলা যায় না, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইরানের কোনো মিজাইলের গতিপথ যদি সৌদি আরবের রাজধানির দিকে ফিরিয়ে দেয় কেউ- এমন শঙ্কা জেগেছে মেসি-সুয়ারেজদের মধ্যে। ভয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধুর সম্পর্ক। একই সঙ্গে সৌদি আরবের মাটিতে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি।
Advertisement
এ কারণে, বৃহস্পতিবার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে সুপারকোপা ডি এস্পানার ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বার্সেলোনা কয়েকটি বিকল্প নিয়ে চিন্তা করে রেখেছে। কোনোভাবে যদি আচমকা সৌদি আরব ব্যাটেল গ্রাউন্ড হয়ে যায়, ইরানের হামলার টার্গেট হয়ে যায়, তখন তারা কি করবে তা নিয়ে।
যদিও এই চিন্তা এখনই অমূলক। কারণ, আর মাত্র একটি দিন সৌদিতে অবস্থা করতে হবে তাদের। এমন শঙ্কার দোলাচলে দুলতে দুলতে আজ বিকালে আল আহলি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন করতে নামে বার্সেলোনা।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের কারণে রিয়াদে উপস্থিত বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠোর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি পুলিশ।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement