দেশজুড়ে

গরুকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, গরুকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না। কারণ এন্টিবায়োটিক মানবদেহে প্রবেশ করে নানা ইফেক্ট তৈরি করে। কাজেই গাভি অসুস্থ হলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত আছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কৃষকদের ঋণ সহজলভ্য করা হবে। সবার সহযোগিতায় দেশকে মাছ, মাংস, দুধ আর ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে পুষ্টি ও আমিষের ঘাটতি পূরণ করা হবে।

আশরাফ আলী খান খসরু আরও বলেন, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। খামারিরা যাতে সহজে ঋণ পায় সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুগ্ধ খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রাণ ডেইরিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাণ ডেইরি কমপ্লেক্সে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে দরকার পুষ্টি। পুষ্টির ভিত্তি হলো দুধ। দুধ উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন খামারিরা। আজ তাদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরাই সম্মানিতবোধ করছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শাহজাদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা, শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক ডা. আবু সৈয়দ মো. নাসির উদ্দিন খান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান।

সেরা খামারির পুরস্কার পেয়েছেন মো. মাহতাব আলী, ইসলাম আলী, মো. আব্দুর রশিদ, মো. রেজাউল করিম, মো. রুবেল হোসেন, মো. শামসুল, মো. আকবর আলী, মো. মনিরুল ইসলাম আলাল, মনোরঞ্জন রায়, মোছা. মিনা আক্তার, মো. হান্নান প্রামাণিক, মধুসূদন ঘোষ, মো. টুটুল প্রামাণিক, মো. উকিল হোসেন ও মো. মতিন সরকার। অনুষ্ঠানে শেষে চিজ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়।

প্রসঙ্গত, পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি এবং রংপুরে প্রাণ এর ডেইরির মোট পাঁচটি হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীনে ১০১টি দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে খামারিরা সরাসরি দুধ সরবরাহ করেন। প্রাণ ডেইরির বর্তমানে ১২ হাজার চুক্তিভিত্তিক চাষি রয়েছে যারা গরু পালন করেন। এসব চাষির অধীনে ৫০ হাজার গরু রয়েছে। দুগ্ধ খামার করে এসব খামারি নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়ে এনেছেন।

Advertisement

ইউসুব দেওয়ান রাজু/এমএএস/পিআর