জাতীয়

বনানীর ‘অনিরাপদ’ সড়কে মাদক-ছিনতাইকারীর আখড়ায় র‍্যাবের অভিযান

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় আবারো আলোচনায় এসেছে বনানী থেকে বিমানবন্দরগামী ‘অনিরাপদ’ রেললাইন সংলগ্ন সড়কটি। তবে ধর্ষণকাণ্ডের পর সড়কে ভাসমান মাদক ও ছিনতাইকারীদের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সড়কটিতে ভাসমান মাদক ও ছিনতাইকারীদের আখড়ায় অভিযান পরিচালনা শুরু করে র‍্যাব।

Advertisement

র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজধানীর বনানী থেকে বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত র‍্যাবের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মজনুকে গ্রেফতারের পর এসব এলাকার অপরাধীদের আখড়া উপড়ে ফেলার ঘোষণা দেন র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম।

তিনি বলেন, ‘রেলস্টেশনগুলো বিভিন্ন অপরাধের আখড়া। আজ থেকেই ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে রেলস্টেশনের আশপাশের এলাকাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে র‍্যাব। রেললাইন সংলগ্ন ভাসমান এসব অপরাধের আখড়া উচ্ছেদ করা হবে। আজই বনানী থেকে আমরা এ অভিযান শুরু করব।’

Advertisement

ধর্ষক মজনুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি জানান, কুর্মিটোলা এলকাকেন্দ্রিক রেললাইন ঘিরে এর আগেও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল সে (মজনু)। ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থলসহ আশপাশে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত। এছাড়া মাদকসেবী মজনু নিয়মিত ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

এআর/এফআর/এমএস

Advertisement