মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল সোলেইমানির জানাজা অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। শুক্রবার বাগদাদে বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর গত তিনদিন রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বেশ কিছু শহরে সোলেইমানির দেহাবশেষ নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
গতকাল মঙ্গলবার সোলেইমানির জন্মস্থান কেরমান শহরে পদদলনে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ইরানের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কৌলিবান্দের বরাতে দেশটির আধা সরকারি সংস্থা ফার্স ও ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সির (আইএসএনএ) প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কৌলিবান্দ ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে বলেন, অতিরিক্ত মানুষের সমাগমের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নিষ্প্রাণ কতগুল দেহ রাস্তায় ভীড়ের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে, অনেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সোলেইমানির জানাজা উপলক্ষে তার জন্মভূমি কেরমানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। সেখানেই তাকে সমাহিত করার কথা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের ভীড়ে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর তা স্থগিত করা হয়। এরপর আজ বুধবার সকালে কেরমানের শহীদ সমাধিস্থলে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
Advertisement
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। তারপর ইরাকে জানাজা শেষে রোববার সোলেইমানির দেহাবশেষ ইরানে নেয়া হয়।
এসএ/পিআর