ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন বিমান ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন
Advertisement
এর আগে ইরাকের আল-আসাদ নামের ওই বিমান ঘাটিতে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা করে। হোয়াইট হাউজ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে।তবে এই রকেট হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ‘ইরাকের একটি মার্কিন ঘাটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতয়ি নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন’।
ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
Advertisement
‘আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে,'' ইরানের ইরনা নিউজ এজেন্সিতে একটি বিবৃতিতে বলেছে বাহিনীটি।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজার সময় পদদলনের ঘটনা ঘটে। পদদলনের এই ঘটনার পর তার দাফন স্থগিত রাখা হয়েছে।
সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যে চিরবৈরী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন-তেহরানের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার ইরানের পার্লামেন্টে আনা নতুন একটি বিলে মার্কিন সব বাহিনী, পেন্টাগনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা, অ্যাজেন্ট এবং কমান্ডার; যারা কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এমআরএম