আন্তর্জাতিক

মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলায়মানি এবং ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ১০ জনকে হত্যা করার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের ঘাঁটিগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সমস্ত রীতিনীতি এবং আইন লংঘন করে জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার নির্দেশ দেন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকের তথ্য অনুসারে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে সবার পরিচয় নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘাঁটিতে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড, মার্কিন স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড, স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড সেন্ট্রাল এবং মেরিন ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড অবস্থিত।

ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা জারি করার পর সবার পরিচয় পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং গাড়ির ভেতরে থেকে কার্ড দেখিয়ে কেউ ঘাঁটির ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে না।

Advertisement

এদিকে, ভার্জিনিয়ার মেরিন কোর বেইজ কোয়ান্টিকো, ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন কোর বেইজ ক্যাম্প পেন্ডেলটন, নর্থ ক্যারোলাইনা ফোর্ট ক্যারসন, কলোরাডো, ফোর্ট ব্রাগ এবং মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিয়েডে ঘাঁটিতে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব ঘাঁটির ফেইসবুক একাউন্টে সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে জানানো হয়েছে যে, ঘাঁটিতে প্রবেশের ব্যাপারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো এরইমধ্যে উচ্চতর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে যা আলফা থেকে ব্রাভো-তে উন্নীত করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে- ক্রমবর্ধমান অথবা তার চেয়ে অনেক বেশি সম্ভাব্য হুমকি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি শনিবার আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট একটি ন্যাশনাল টেরোরিজম অ্যাডভাইজরি সিস্টেম বুলেটিন ইস্যু করেছে এবং তা ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকবে। এতে বলা হয়েছে, ইরান এবং হিজবুল্লাহ হামলার কথা বলেছে এবং তারা আমেরিকার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে সক্ষম। মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগ থেকে সাইবার হামলার ব্যাপারেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ইউরোপের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে একশভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সূত্র: পার্সটুডে/এমআরএম