ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে এ পর্যন্ত ১৩টি রূপরেখা উত্থাপিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের এসব রূপরেখা নিয়ে কাজ চলছে।
Advertisement
এর মধ্যে ইরানের সবচেয়ে দুর্বল রূপরেখাটিও যদি বাস্তবায়ন করা হয়; তাহলে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐতিহাসিক দুঃস্বপ্ন হিসেবে দেখা দেবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। শামখানি বলেন, প্রতিশোধের জন্য ১৩টি রূপরেখা এসেছে। তবে এখনই এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, জেনারেল সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ কেবল একটি অভিযানের মাধ্যমে নেয়া হবে না। বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের সব যোদ্ধা মিলে এর প্রতিশোধ নেবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের এই কর্মকর্তা বলেন, ইরান সীমান্তের খুব কাছেই আমেরিকার ১৯টি ঘাঁটি রয়েছে। এগুলো এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার জনশক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের হাতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রয়েছে এবং তাদের ছোট-বড় সব ধরনের তৎপরতা নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
Advertisement
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজার সময় পদদলনের ঘটনা ঘটে। পদদলনের এই ঘটনার পর তার দাফন স্থগিত রাখা হয়েছে।
সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যে চিরবৈরী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন-তেহরানের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার ইরানের পার্লামেন্টে আনা নতুন একটি বিলে মার্কিন সব বাহিনী, পেন্টাগনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা, অ্যাজেন্ট এবং কমান্ডার; যারা কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
সূত্র : পার্সট্যুডে, রয়টার্স।
Advertisement
এসআইএস/পিআর