শীতের জেলা পঞ্চগড়ে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। মঙ্গলবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ডুবে ছিল গোটা এলাকা। তবে সকাল ৮টার পর সূর্যের মুখ দেখা যায়। এরপর ঝলমলে রোদ শুরু হলেও উত্তরের হিম করা ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। ২/১ দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন ৬ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) ছিল ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা কনকনে শীতে আয় কমে গেছে কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিক্শা-ভ্যান চালকসহ দিনমুজুরের।
জেলা শহরের ডোকরোপাড়া মহল্লার রিকশা চালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধারণভাবে দিনে চার থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত আয় করি। কিন্তু এখন ঠান্ডার কারণে এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশায় ওঠে না। এখন আয় একেবারে কমে গেছে। গতকাল সারাদিন ২৫০ টাকা ইনকাম করেছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার এই অবস্থাকে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আবারও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
সফিকুল আলম/এফএ/জেআইএম