ধর্ম

বছরের শুরুতেই মুসলিমদের হত্যার হুমকি!

মধ্য ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্র। ধর্ম নিরপেক্ষ দেশটিতে বসবাসকারী সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য যার যার ধর্ম পালনে রয়েছে স্বাধীনতা। ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ব্রনোর ভাদেস্কে স্ট্রিটের মসজিদের দেয়ালে লিখে সম্প্রতি মুসলিমদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বছরের শুরুতে এমন ঘটনায় মুসলিমদের মধ্যে উদ্বেগ ও ভয় কাজ করছে।

Advertisement

সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রে এ রকম ঘোষণা মুসলিমদের জন্য এটি একটি খারাপ সংবাদও বটে। জনপ্রিয় আরবি গণমাধ্যম জারিদাতুল উম্মাহসহ অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনে শনিবারে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘চেক প্রজাতন্ত্রে ইসলাম ধর্ম প্রচার করলে তাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত উগ্রপন্থীরা। নতুন বছরের শুরুতেই দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ব্রনোর ভাদেস্কে স্ট্রিটের মসজিদের দেয়ালে চেক ভাষায় হত্যার হুমকি দিয়ে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছে তারা। কেউ ইসলাম প্রচার করলেই তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে।

এর আগেও ভাদেস্কে স্ট্রিটের মসজিদটি এর আগেও বেশ কয়েকবার উগ্রপন্থীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল।

মসজিদে দেয়ালে লেখা বিদ্বেষ ও হুমকি দেয়ার নেপথ্যে কারা, তাদের বের করতে শুক্রবার থেকেই কাজ করছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয় পুলিশের মুখপত্র বুহুমিল মালাস্ক চেক নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। অভিযুক্তরাসনাক্ত হলে এ অপরাধে তাদের ন্যূনতম এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র চেক প্রজাতন্ত্রের ইসলামি আওকাফ বিভাগের পরিচালক মুনিব হাসান আল-রাবি বলেছেন, ‘মুসলিমদের হত্যার হুমকি ও বিদ্বেষমূলক আক্রমণের ঘটনাটি আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছি। এ ঘটনাটি ইন্টারনেটের অপরিচিত কোনো কল নয়, বরং মুসলিমদের সরাসরি হুমকি দেয়ার শামিল ‘

তিনি আরও বলেন, ‘এটিকে আমরা বিশ্বব্যাপী মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার অংশ হিসেবেই নিয়েছি। এ হুমকির মাধ্যমে চেক প্রজাতন্ত্রেও ধর্মীয় অস্থিরতা শুরু হয়ে গেল ‘

উল্লেখ্য যে, ব্রনোর মসজিদটি ১৯৯৯ সালে চালু হয়েছিল এবং মুসলমানরা নিয়মিত সেখানে নামাজের জন্য জড়ো হন। মসজিদটি উদ্বোধনের আগেই সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেছিল এক উগ্রপন্থী। ২০১৩ সাল থেকে গত ৬ বছরে মসজিদটিতে ৫ বার হামলা করা হয়েছে।

এমএমএস/জেআইএম

Advertisement