সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের চলতি মাসেই পদায়ন দেয়া হবে। যোগদান পাওয়া শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন। সোমবার সচিবের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
Advertisement
গত ডিসেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সারা দেশে শূন্য আসনের ভিত্তিতে মোট ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচন করা হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এসব শিক্ষকদের নিজ নিজ উপজেলায় এসব শিক্ষকদের পদায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জানুয়ারি মাসের মধ্যে পদায়ন কার্যক্রম শেষ করা হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে সচিব আকরাম আল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সারা দেশের শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। এ মাসের মাঝামাঝি তাদের যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনূযায়ী এসব সহকারী শিক্ষকরা সরাসরি ১৩ গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা পাবে। তবে যোগদানের পর তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগে সহকারী শিক্ষকদের ১৫ গ্রেডে যোগদান করতে হত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে তারা ১৪ গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা দেয়া হত। বর্তমানে যোগদানের পরেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই তাদের ১৩ গ্রেডে বেতন-ভাতা দেয়া হবে।
Advertisement
সচিব আরও বলেন, নতুন করে আরও ২৬ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে বর্তমানে নিয়োগ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা না করতে নিয়ম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিপুল সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করে থাকে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বুয়েটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করতে হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে নতুন করে অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এমএইচএম/এমআরএম
Advertisement