আগের দিনে মানুষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রধান উপায় ছিলো পায়ে হাঁটা। চাকা আবিষ্কারের পর তৈরি হয় যানবাহন। প্রথম দিকে গরুর গাড়িই ছিলো মানুষের প্রধান ভরসা। সময়ের সাথে সাথে আবিষ্কার হয়েছে আরও নিত্য নতুন আধুনিক সব যানবাহন। উন্নত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারপরও মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনের কোনো শেষ নেই। বিশেষ মুহূর্তে জরুরী প্রয়োজনে এখন মানুষ দ্বারস্থ হচ্ছে প্রাইভেট হেলিকপ্টারের। যেমন জরুরী মিটিং, রোগী আনা নেওয়া সহ আরও অনেক কারণে প্রাইভেট হেলিকপ্টারের ব্যবহার বাড়ছে। দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা হেলিকপ্টার ভাড়া দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স নামে একটি কোম্পানি বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে। সিভিল এভিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে ৯টি কোম্পানির ১৫টি হেলিকপ্টার রয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগ সূত্রে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সরকারের নীতিমালার ভিত্তিতে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। একটি এয়ারলাইন্স সংস্থার লাইসেন্স পেতে যা যা দরকার হেলিকপ্টারের লাইসেন্স পেতে একই নিয়ম-কানুন। এনওসি, হেলিকপ্টার ইন্সপেকশন, অফিস ইন্সপেকশন, পাইলট, ক্রু লাইসেন্স ভেরিফিকেশন, ম্যানেজমেন্টের সক্ষমতা সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর এয়ারওয়ার্দিনেস সার্টিফিকেট (এওসি) দেয়া হয়।
Advertisement