আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। ভ্যাপসা গরম, বৃষ্টি আর অসহনীয় যানজটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন জনসাধারণ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ও আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় শনিবার গণসংবর্ধনার আয়োজন করে ১৪ দল। সংবর্ধনায় নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম ঘটায় মহাজোট।ফুটপাতে অবস্থান করে সংবর্ধনায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার দিকেই নেতাকর্মীরা রাস্তার মধ্যখানে অবস্থান নিতে থাকেন। এসময় যারা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো ছিল না। পুলিশ প্রশাসনও ছিল অনেকটা নির্বিকার। ফলে দু’পাশ থেকে আসা পরিবহনের গতি অনেকটাই কমতে থাকে। বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তায় বেলা ১টার দিকে পরিবহন চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘযানজটের সৃষ্টি হতে থাকে নগরীর প্রধান এই সড়কে। এর রেশ রাজধানীর অন্যান্য সড়কগুলোতেও পড়ে। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে রাজধানী ও রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে অবস্থা নেন। এসব নেতাকর্মী বাস-ট্রাকে করে আসায় প্রধান রাস্তাগুলো এমনিতেই সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এরপর তারা রাস্তায় অবস্থান নিতে থাকলে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কুড়িল ফ্লাইওভারের কাছে কথা হয় খালিদ হোসেন নামের এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তরার এক হাসপাতালে বন্ধুকে ভর্তি করতে হবে। বাসে আধঘণ্টা বসে থাকার পর হাঁটতে শুরু করেছি। অসহনীয় যানজট। সংবর্ধনা দেবে ভালো কথা। কিন্তু আমাদের সাধারণের কথাও একটু মাথায় রাখা উচিত। নাজনীন সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ইডেন কলেজ থেকে কুড়িলে এসেছি চল্লিশ মিনিটে। আর একই জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় পঞ্চাশ মিনিট ধরে। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন। এরপরেও গাড়ি ছাড়ছে না। বৃষ্টি হওয়ার কারণে যানজট আরো বেড়ে গেছে। কখন গাজিপুরে পৌঁছাবো বুঝতে পারছি না। এসএসএস/একে/আরআইপি
Advertisement