যে সংস্থারই বিমান হোক না কেন, আসনের রং কিন্তু একই ধরনের হয়। যারা বিমানে যাতায়াত করেন, তারা হয়তো বিষয়টি লক্ষ্য করে থাকবেন। দেখবেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসনগুলোর রং কিন্তু নীল হয়। তবে কোন কোন বিমানের আসন লাল বা খয়েরি রঙেরও হতে পারে।
Advertisement
আসলে বিমানের আসনের রং কেন নীল রাখা হয়? অনেকেই হয়তো এমন প্রশ্ন করে থাকবেন। তবে সত্য কথা হচ্ছে- এটি কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয় না। এর পেছনেও সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সেই কারণগুলো শুনলে হয়তো অবিশ্বাস্য মনে না-ও হতে পারে।
মূলত মাঝ আকাশে বায়ুর চাপ প্রতিহত করে যাত্রীদের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে দ্রুত গতিতে পৌঁছে দেয় বিমান। এ যাত্রা যতটা সুবিধাজনক, ততটাই বিপজ্জনক। তাই বিমানের আকার, তৈরির ধাতু, ভেতরের ছোট অংশগুলোর ক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে মাথায় রাখা হয়।
সে রকমই একটি হলো বিমানের আসনের রং। কেননা বিমানে উঠলে প্রায় সবাই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মানসিক চাপ অনুভব করেন। যাত্রীদের সেই মানসিক চাপ কাটানোর জন্যই আসনের রং নীল করা হয়। নীল রংকে শান্তির প্রতীক বলা হয়। এ রং মানসিক অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে।
Advertisement
এছাড়াও নীল রং সহজে নোংরা হয় না। সাদা ছাড়াও অন্য যেকোনো গাঢ় রং সহজে নোংরা হতে পারে। নীলের ক্ষেত্রে সেটা সহজে হয় না। তবে সব এয়ারলাইন্স নীল রঙের আসন ব্যবহার করে না। কিছু এয়ারলাইন্স আসনের রং লাল বা খয়েরি রাখে। তবে নীল রং-ই বেশি ব্যবহার হয়।
এসইউ/পিআর