ধর্ম

‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ সম্পর্কে মুফতি তকি উসমানির ফতোয়া

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বৈধতা নিয়ে নানান মত ও প্রশ্ন ওঠছে। দেশ-বিদেশের ওলামায়ে কেরাম এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিখ্যাত আলেম মুফতি তকি উসমানি ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠাকে কোনোভাবেই জায়েজ নেই বলে অডিও বার্তায় জানিয়েছেন।

Advertisement

রাজধানী ঢাকার মাতুয়াইলস্থ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে (আইসিএমএইচ)সম্প্রতি মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণের জন্য ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ চালু করা হয়েছে। ইসলামি শরিয়তে এর বৈধতা নিয়ে সারাদেশের আলেম-ওলামারা প্রশ্ন তুলেছেন।

রাজধানী ঢাকার শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও প্রখ্যাত আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ এক অডিও বার্তায় বিশ্ব ইসলামিক স্কলার ও পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি মুফতি তকি উসমানির কাছে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বৈধতা সম্পর্কে তার মতামত জানতে চেয়েছেন। তাদের এ অডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। আর তাহলো-

অডিও বার্তায় মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের প্রশ্ন-

Advertisement

‘১৯৮৫ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছে। জেদ্দার সে সেমিনারে হিউম্যান মিল্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ চালু হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত চাই। আপনি মতামত জানালে আমরা উপকৃত হবো।

অডিও বার্তার জবাবে মুফতি তকি উসমানি-

‘মাওলানা মিজানুর রহমান সাহেব আপনার অডিও মেসেজ পেয়েছি। আমি এ মুহূর্তে দুবাই আছি। আপনার মেসেজের জবাবে আমি বলবো-

‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই। এখানে নানান ধরণের সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে ১৯৮৫ সালে সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাংক চালু হলে নানান ফেতনা সৃষ্টি হবে। তাই এটা নাজায়েজ। ওলামায়ে কেরামের উচিত এ ধরণের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা। ‘মুজিজাতুল ফিকহুল ইসলামি’ থেকে আপনি আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনার কাছে কিতাবটি না থাকলে আমি পাঠাতে পারি। আল্লাহ তাআলা সাবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন।’

উল্লেখ্য যে, ১৯৮৫ সালে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমিতে বিষদ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা এবং এ ব্যাংকে রাখা দুধ শিশুকে পান করানো জায়েজ নেই।’

এমএমএস/পিআর