জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে প্রতীকীভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে ১০ জানুয়ারি

১০ জানুয়ারি ১৯৭২। দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথম গিয়েছিলেন লন্ডন, সেখান থেকে ভারতের দিল্লি। তারপর জাতির পিতা আগমন করেন তার প্রিয় জন্মভূমিতে।

Advertisement

৪৮ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তটা আবার মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠবে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি। স্থান সেই তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দর। যে ধরনের বিমানে করে বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন, যেভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল, সবই ১০ জানুয়ারি করা হবে প্রতীকীভাবে।

উদ্দেশ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’র কাউন্টডাউন। ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরের প্যারেড গ্রাউন্ডে কাউন্টডাউন উদ্বোধন করবেন।

আজ (শনিবার) হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ড্র অনুষ্ঠান। সেখানে অতিথির ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘জাতি ১০ জানুয়ারি প্রতীকীভাবে অভ্যর্থনা জানাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু কেমন বিমানে এসেছিলেন, ৪৮ বছর আগে কীভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল, সবই প্রতীকীভাবে করা হবে। তারপর সুইচ টিপে কাউন্টডাউন উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

Advertisement

‘মুজিববর্ষে’র কাউন্টডাউনের প্রধান ঘড়িটি থাকবে পুরোনো বিমানবন্দরে। এছাড়া পুরো দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও থাকবে কাউন্টডাউন ঘড়ি। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৮৩টি স্থানে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে। আরও অনেক কিছুই থাকবে। কাউন্টডাউন শুরু হলেই দেখতে পাবেন।’

আরআই/এমএমআর/জেআইএম