ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মতো স্থানেও নাকি হামলার ছঁক কষেছিলেন আইআরজিসির বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানি।
Advertisement
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘রকেট হামলায় একজন মার্কিনির মৃত্যু এবং চার মার্কিনি গুরুতরভাবে আহত হওয়াসহ ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুর ওপর সাম্প্রতিক হামলা, বাগদাদে আমাদের দূতাবাসে সহিংস হামলাও সোলেইমানির নির্দেশেই করা হয়েছিল।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সোলেইমানি নিরপরাধ মানুষদের মৃত্যুকে তার অসুস্থ কামনায় পরিণত করেছিলেন। নয়াদিল্লি এবং লন্ডন পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী চক্রান্তে তার অবদান ছিল। আজ আমরা সোলেইমানির বহু অত্যাচারের শিকারদের কথা স্মরণ করছি এবং এটা জেনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি যে তার সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ।’
ট্রাম্পের দাবি, ‘যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তাহলে প্রচুর প্রাণ বাঁচানো যেত। সম্প্রতি সোলেইমানি ইরানে প্রতিবাদকারীদের ওপর বর্বর নির্যাতনেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিক্ষোভ চলাকালে সরকার কর্তৃক সেখানে এক হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছিল।
Advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, আমরা যুদ্ধ থামাতেই এটা করেছি, যুদ্ধ শুরু করার জন্য আমরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি। ইরানের জনগণের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা। তারা চমৎকার ঐতিহ্য ও সীমাহীন সম্ভাবনার অধিকারী মানুষ। আমরা সেখানে সরকার পরিবর্তনেরও চেষ্টা করছি না।
ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন কূটনীতিক ও সামরিক কর্মীদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সোলেইমানি। কিন্তু আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছিলাম এবং খতম করে দিয়েছি। কয়েক বছর ধরে আইআরজিসি ও সোলেইমানির নেতৃত্বে এর কুদস ফোর্স শতাধিক মার্কিন বেসামরিক ও সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে।’
শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী আইআরজিসির কুদস শাখার প্রধান এবং ইরানের আঞ্চলিক সুরক্ষা দুর্গের স্থপতি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হন। এই হামলায় ইরাকের শক্তিশালী হাশেদ আল-শাবি আধাসামরিক বাহিনীর উপ-প্রধানকেও হত্যা করা হয়েছে।
এসএ/এমএস
Advertisement