আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের দুই বড় শহরে হামলা আতঙ্ক

ইরানের শীর্ষ জেনারেল ইরাকে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও নড়েচড়ে বসেছে। তারা আশঙ্কা করছে, সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করতে পারে ইরান। বিশেষ করে দেশটির দুই বড় শহর নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে।

Advertisement

শুক্রবার ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি তার দুই পরামর্শকসহ বাগদাদে নিহত হন। তারপর গোটা বিশ্বে থাকা মার্কিনিরা হামলার ভয়ে আতঙ্কিত। ইরাকসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে মার্কিনিদের চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শহর যেকোনো ধরনের হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, শহরে হামলা হতে পারে এরকম কোনো বিশ্বস্ত ও নির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও শঙ্কা বিবেচনায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

মার্কিন এক টেলিভিশনকে মেয়র ডি ব্লাসিও বলেন, ‘গতরাত পর্যন্ত আমরা ইরানের সঙ্গে একটা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি। আমরা এখন অন্যান্য বিষয়সহ সম্পূর্ণ এক বাস্তবতার মুখোমুখি। আমাদের জন্য এটা আরও অনেক সংগঠিত হুমকি। ইরান ও তাদের অনেক এজেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করছে।’

Advertisement

নিউইয়র্কের মেয়র বলেছেন, ইরান প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করলে প্রথম ধাপেই যে নিউইয়র্কে হামলা চালাবে এমনটা মনে করছেন না তিনি। তবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রক্সি গ্রুপও হামলা চালাতে পারে যেকোনো সময়। তাই তিনি তার শহরের নিরাপত্তার কথা ভেবে সতর্কতামূলক এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বড় শহর লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশও সতর্ক অবস্থানে গেছে। তারা শহরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে খোঁজখবর রাখছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো হুমকি পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ হামলার পরপরই টুইটারে এক সতর্কবার্তায় জানায়, ‘এখনো কোনো নির্দিষ্ট হামলার ঝুঁকি আসেনি। তবে ইরানের সঙ্গে ঘটনা কোনদিকে যাচ্ছে তা সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ অবস্থা জানতে আমরা আঞ্চলিক, কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

এসএ/এমএস

Advertisement