মতামত

দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ চাই

কবি বলেছেন ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পূর্ণিমার চাঁদকেও ঝলসানো রুটি মনে হয়। এটি চরম বাস্তবতা। তাই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম নিরন্তর। এই সংগ্রামে যখন কোনো দেশের সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তখন তা ওই দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দারিদ্র্য দূর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি যেমনটি বলেছেন- ‘আমাদের এ অঞ্চলের বড় শত্রু দারিদ্র্য। আমরা যদি সকলে একযোগে কাজ করি তাহলে অবশ্যই দারিদ্র্য জয় করতে পারব। সে জন্য আমাদের এই অঞ্চলের সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হওয়ার বিকল্প নেই।’

Advertisement

এটা খুবই আশার কথা যে বাংলাদেশের অতি দারিদ্র্য পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। সাত বছরের ব্যবধানে প্রায় ৮০ লাখ হতদরিদ্র লোক অতি দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠেছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৮০ লাখ হতদরিদ্র লোক ছিল। শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা ও সফল পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করেছে বলেও মন্তব্য করে বিশ্বব্যাংক।

বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সরকার নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বয়স্কভাতাসহ চালুসহ রয়েছে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি। উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূর করা সম্ভব হয়েছে সরকারের বাস্তবমুখি পদক্ষেপের কারণে। দারিদ্র্যকে সঙ্গে করে একটি দেশ খুব বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারে না। এতে সামাজিক বৈষম্য প্রকট আাকার ধারণ করে। কাজেই বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজতথা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। এজন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থাই পারে দারিদ্র্যসহ সকল ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে। দারিদ্র্য বিমোচনে একসঙ্গে কাজ করাটাই হোক সকলের লক্ষ্য।

এইচআর/এমএস

Advertisement