জাতীয়

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

থরে থরে সাজানো চা-পাতার সবুজের দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। যেন দুটি পাতা একটি কুঁড়ির ডগায় শিশির বিন্দুর আনাগোনা। এরই মাঝখানে সবুজ গালিচায় শুয়ে আছেন বাঙালির গর্ব বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান। মঙ্গলবার তার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। একাত্তর সালের এই দিনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তের চৌকিতে তিনি শহীদ হন।হামিদুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামের অাক্কাস আলী ও কায়সুননেছার ছেলে। তিনি একাত্তর সালে কিছু সময়ের জন্য আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন ও একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন এক নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিক পদে যোগ দেন।মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে নির্মাণ করা হয়েছে তার স্মরণে স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিস্তম্ভটির তিনদিকেই চা-গাছ, সারি সারি বৃক্ষরাজির সমাহার। স্মৃতিসৌধের সম্মুখে ১৯৯২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সৌজন্যে একটি বীরশ্রেষ্ঠ সরণিও নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে সীমান্ত যাত্রী অবকাশ নামে একটি সুদৃশ্য ছাউনি রয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরের মধ্যে ৪ নম্বর সেক্টরের মেজর (পরে মেজর জেনারেল) সি আর দত্তের অধীনে ছিল ভারতের ত্রিপুরার কমলপুর সাব-সেক্টর। এ সাব-সেক্টররের অধিনায়ক ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান।

Advertisement