ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের অভিজাত বাহিনী আইআরজিসির বিদেশি শাখা কুদস্ এর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
Advertisement
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার জেনারেল সোলেইমানি হত্যার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে তার এই দুর্বল বিপজ্জনক কাজের সমস্ত পরিণতির দায়ভার বহন করতে হবে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কমান্ডার সোলেইমানিকে হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী বাহিনীর বর্বরতা ও বোকামি নিঃসন্দেহে এই অঞ্চল (মধ্যপ্রাচ্য) ও বিশ্বে প্রতিরোধের সক্ষমতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।’ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সশস্ত্র শক্তিকে ইরান প্রায়ই ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে থাকে।
সোলেইমানিকে ইরানের গোটা বিশ্বে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তারের কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুক্রবার ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার গাড়িবহরে ড্রোন হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় সোলাইমানি তার উপদেষ্টা ও ইরাকের সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডারসহ ছয় নিহত হন।
Advertisement
শুক্রবারের এই হামলার রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) বিদেশি শাখা কুদস্ ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরাকে নিহত হওয়ার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ও সর্বোচ্চ প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
খামেনি বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সোলেইমানি হত্যার বদলা নিতে ইরান ও প্রতিরোধ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
এসএ/পিআর
Advertisement