অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে গোলাগুলির ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করছে দেশটির পুলিশ। অস্ট্রেলীয় পুলিশ শনিবার দাবি করেছে, ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর শুক্রবার যে হামলা চালিয়েছে তার সঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক’ রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করেন। খবর বিবিসির।শুক্রবারের ওই হামলায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের একজন কর্মী ও বন্দুকধারী কিশোরও নিহত হয়েছেন। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, নিহত হামলাকারী কিশোর ইরাকি-কুর্দি বংশোদ্ভূত। ইরানে তার জন্ম হয়েছিল।যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় অভিযান চালিয়ে আসছে।এদিকে, মেলবোর্ন প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা পরিক্ল্পনার অভিযোগে একটি মামলায় শুক্রবার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কমিশনার অ্যান্ড্রু শিপিওনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তার (নিহত হামলাকারী) কর্মকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়া হামলাকারী কিশোর পুলিশের কাছে কিংবা সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তাদের কাছে অপরিচিত ছিলেন বলে তিনি জানান।অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতপরিচয় পরিচয় বন্দুকধারী পুলিশের ওই কর্মীকে গুলি করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অন্য পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। এসময তাকে ধর্মীয় স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল পাল্টা গুলি ছুড়লে হামলাকারীও নিহত হয়।২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সিডনির একটি ক্যাফেতে প্রায় ১৭ ঘণ্টার জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটে পুলিশের রক্তাক্ত অভিযানের মধ্য দিয়ে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরকে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তাদের ছুরিকাঘাতের অভিযোগে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।এর আগে, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর জঙ্গি হামলার হুমকির আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড তাদের দলের নির্ধারিত ঢাকা সফর স্থগিত করে। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই সিডনিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে দোষারোপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।এসআইএস/এমএস
Advertisement