শিবলী এইচ আহমদ সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) দায়িত্বে আছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। তিনি এমন এক এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছেন; যেখানে কর্পোরেট মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও সাহায্য করার মত কেউ ছিল না। তাই রেফারেন্স পাওয়ার সুযোগও কম ছিল। তার অদম্য ইচ্ছাই তাকে বড় হওয়ার সাহস জুগিয়েছে। সম্প্রতি তার ক্যারিয়ার ও সফলতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার—
Advertisement
আপনার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই—শিবলী এইচ আহমদ: যশোর বোর্ডের অধীনে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অনার্সে ভর্তি হই। এরপর প্রতিটি সার্টিফিকেট পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণির ফলাফল নিয়ে একে একে ঢাবি থেকে আইআরে মাস্টার্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিজিডি ইন এইচআরএম, বিকেএমইএ থেকে পিজিডি ইন সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, আইবিএ, ডিইউ থেকে এমডিপি প্রোগ্রামের কয়েকটি শর্টকোর্সসহ অসংখ্য ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে প্রতিনিয়ত উন্নত করে চলেছি। যা নিজেকে কর্পোরেট জগতে টিকিয়ে রাখতে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
ক্যারিয়ারের শুরুটা কেমন ছিল?শিবলী এইচ আহমদ: ১৪ বছরের চাকরি জীবনের শুরু হেরিটেজ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেডে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে। এরপর একে একে কিউবি বাংলাদেশ, নাভানা গ্রুপ, প্যাসিফিক এ-১ গ্রুপে এইচআর ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। তারপর হেড অব এইচআর হিসেবে ডেকো ফুডস লিমিটেড ও গেটকো গ্রুপের দায়িত্বেও নিয়োজিত ছিলাম।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছেন। এদেশে কী ধরনের প্র্যাক্টিস হচ্ছে?শিবলী এইচ আহমদ: আমার নেশা-পেশা মানবসম্পদের উন্নয়নে কাজ করা। কিভাবে আমার সহকর্মীরা প্রতিষ্ঠানে ভালো থাকবে এবং তারা আরও দক্ষ হয়ে কোম্পানির বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনে ও নিজের ক্যারিয়ার উন্নয়নে সহায়ক হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি, যখন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। যারা আমাকে ভালোভাবে চেনেন, তারা জানেন যে আমি আমার কাজের প্রতি কী পরিমান একনিষ্ঠ।
Advertisement
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি প্রায় এক যুগেরও বেশি। এ দীর্ঘ পথচলায় এটুকু বলতে পারি, আগামী দিনের এইচআর বিভাগ হবে বিজনেস ড্রাইভার ও সংখ্যা নির্ভর। দিনে দিনে এইচআর বিভাগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে কোম্পানি ম্যানেজমেন্টের কাছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো এখন ট্রাডিশনাল এইচআর থেকে ট্র্যানজিশনাল এইচআর প্র্যাক্টিসে আসছেন বিজনেসের স্বার্থে। তারা চাইছেন, তাদের এইচআর বিভাগ বিজনেসের সর্বত্র ভূমিকা রাখুক বিজনেসের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য। দিনে দিনে কোম্পানিগুলো কোয়ালিটি ম্যানপাওয়ার নিশ্চিতকরণের জন্য খুবই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা এখন কোয়ালিটি সার্ভিস, প্রোডাক্টের মেশিন বা ম্যাটেরিয়াল, এর পাশাপাশি কোয়ালিটি ম্যানপাওয়ারের দিকে ফোকাস হচ্ছেন। আর এ কোয়ালিটি ম্যানপাওয়ার নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব কিন্তু এইচআর বিভাগেরই। তাই বিজনেস অপারেশন না বুঝলে যেমন এইচআর প্রফেশনালরা কোম্পানির চাহিদা পূরন করতে পারবেন না, তেমনই নিজের চাকরিটাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
এইচআর প্র্যাক্টিস দিনে দিনে আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে। প্রতিটি দিনই নতুন নতুন এইচআর ম্যাট্রিক্স যোগ হচ্ছে কোম্পানির এইচআর বিজনেস পার্টনার হিসেবে এইচআর বিভাগকে দায়িত্ব পালনের জন্য। এইচআর আর এখন সাইড স্ট্রিমে নয়, মেইন স্ট্রিমে কাজ করছে। যেহেতু মানুষই কোম্পানির মূল চালিকাশক্তি ও সম্পদ। তাই কোম্পানিতে কর্মরত এ মানষগুলোর দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে কোম্পানির সম্পদে পরিণত করতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় বেতন-ভাতাদিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিতে কাজ করার অনুপ্রেরণা ধরে রেখে কিভাবে কোম্পানির সেলস রেভিনিউ, বিজনেস গ্রোথ এবং ব্রান্ড লয়ালিটি বাড়ানো যায় এবং কোম্পানির অপারেশনাল এক্সপেন্স কমিয়ে কোম্পানির প্রোফিটকে বৃদ্ধি করা যায়, সেটাই এইচআরের মূল কাজ।
এইচআর প্রফেশনাল হিসেবে উন্নতির জন্য কী জানা জরুরি?শিবলী এইচ আহমদ: এইচআর অ্যানালিটিক্স নিয়ে এখন প্রচুর কাজ হচ্ছে আমাদের দেশে। বড় কোম্পানিগুলো কেপিআই নির্ভর পারফরমেন্স, টোটাল রিওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট, এমপ্লয়ি ভ্যালু প্রপোজিশন নিয়ে গভীরভাবে কাজ করছে। এইচআর প্রফেশনালকে কোম্পানির ব্যালেন্সশিট, মিশন, ভিশন ও ভ্যালুজ বুঝতে হবে। জানতে হবে কোম্পানির ভ্যালু চেইনের সাকসেস ফ্যাক্টরস, মিশন ক্রিটিক্যাল পজিশন্সগুলো-যা বিজনেসের প্রফিট মার্জিন তথা বটম লাইনে প্রভাব ফেলে। রেগুলার কম্পিটিশন অ্যানালিটিক্স, মার্কেট ডিনামিক্স জানা থাকতে হবে এইচআর প্রফেশনালকে। এসব জানা না থাকলে বিজনেসের চাহিদা অনুযায়ী এইচআর বিভাগ ইনপুট বা ডেলিভারি দিতে পারবে না। আগামী দিনগুলোতে প্রচুর এইচআর পেশাজীবীর চাহিদা হবে ইন্ডাস্ট্রিতে। যারা আক্ষরিক অর্থে বিজনেসের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এইচআর প্রফেশনালকে সবসময় মনে রাখতে হবে, সঠিক মানুষ সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নিয়োগ দিয়ে সঠিকভাবে সঠিক বিষয়ে দক্ষ করে তুলে তার সঠিক যত্ন নিলে সে সঠিক ফলাফল বয়ে আনবে কোম্পানির জন্য। আর এজন্য কনটেম্পোরারি এইচআর এভিনিউগুলো এইচআর প্রফেশনালকে চিনতে হবে। বুঝতে হবে কোম্পানিতে কর্মরত প্রতিটি মানুষের জব নেচার ও জব কনটেক্স অনুযায়ী কেআরএ এবং কেপিআই কী হবে। তেমনি জানতে হবে টিএনএ ও স্টেকহোল্ডার ট্রেড রিলেশন। যারা প্রোডাকশন রিলেটেড কোম্পানির এইচআর বিভাগে কর্মরত আছেন, ম্যান-মেশিন অ্যানালাইসিস ও ইন্টারনাল কাস্টমার ডিমান্ড জানতে হবে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কী কী করছেন?শিবলী এইচ আহমদ: তরুণদের সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, পারসোনাল ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, গ্রুপ কাউন্সেলিং, কোচিং, ট্রেনিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় নলেজ শেয়ারিং ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ ফেস করার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। তরুণদের বিভিন্ন প্রফেশনাল নেটওয়ার্কের আওতায় এনে চাকরিপ্রাপ্তি ও ক্যারিয়ারে উন্নতি করার জন্য কখনো সরাসরি সহায়ক, কখনো পরামর্শকের ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) নির্বাচিত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলরের দায়িত্বে আছি। সেই প্রেক্ষাপট থেকেও আমাকে সবসময়ই তরুণদের ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। এছাড়াও সেলস অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ, সেলস লিডারস বাংলাদেশ, বিল্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এপারেল এইচআর প্রফেশনাল (বিশার্প), ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি পিপলস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে অনেকদিন থেকেই কাজ করছি তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে। গ্লোবাল গুডউইল অ্যাম্বাসেডর (ইউএসএ) হিসেবেও আমার একটি নৈতিক দায়িত্ব আছে তরুণ সমাজের প্রতি। ২০২০ সালে ন্যাশনাল লেভেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। ক্যারিয়ার থেকে লব্ধ আমার কোনো পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা যদি কোনো মানুষের ক্যারিয়ার উন্নতির কাজে আসে বা জীবন চলার পথ সহজ করে তাহলে সেটাই আমার প্রাপ্তি। প্রতিটি তরুণের ভেতরেই অপরিসীম সম্ভাবনা আছে ভালো কিছু করে দেখানোর। শুধু দরকার একটু সঠিক দিক নির্দেশনা। যেটা আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে পাইনি। ফলে অনেক কষ্ট হয়েছে ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে। তাই আমি চাই, আমার পরিচিত কোনো তরুণ-তরুণী যেন সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভুল পথে চলে না যায় বা সিদ্ধান্তহীনতায় না ভোগে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হতে পারে?শিবলী এইচ আহমদ: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরামর্শ হলো- প্রথমেই কী ধরনের চাকরি করতে ভালোবাসেন, নিজের মধ্যে কী গুণাবলী ও দক্ষতা আছে তা খুঁজে বের করা। নিজের ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (ইউএসপি) খুঁজে বের করা এবং যখনই কোনো কোম্পানিতে ইন্টারভিউয়ের জন্য কোনো একটি পজিশনে ডাক পড়বে; সেই জবের চাহিদা অনুযায়ী কিভাবে আপনার ইউএসপি, দক্ষতা ও গুণাবলি কোম্পানির কাজে লাগবে তা বুঝিয়ে বলা। বিশেষ করে, আপনি যে বিষয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন; সেই সাবজেক্ট ম্যাটার নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা। কমন ইন্টারভিউ কোশ্চেনগুলোর উত্তর আগে থেকেই ভালো করে প্রিপারেশন নেওয়া। যে প্রফেশনে ক্যারিয়ার গড়তে চান; সেই প্রফেশনালদের সাথে নেটওয়ার্কিং তৈরি করা, বিভিন্ন ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার ও ট্রেনিং প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশ নেওয়া, মার্কেটে যারা চাকরিদাতা; তাদের খুঁজে বের করে যোগাযোগের চেষ্টা করা, সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের পরিচ্ছন্ন ও প্রোঅ্যাক্টিভ ভাবমূর্তি তুলে ধরা।
Advertisement
চাকরিপ্রাপ্তির মাধ্যম বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ, বিভিন্ন কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজ, প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই- এ সবগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখা ও অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন বা কোম্পানির হয়ে ভলান্টরি কাজে অংশগ্রহণ করা। যা আপনাকে চাকরিদাতাদের চোখে পড়তে সাহায্য করবে। প্রতিদিনই নতুন কিছু না কিছু জ্ঞান আহরণ করবেন। যা আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে চাকরির প্রতিযোগিতায়। বিশেষ করে, মাইক্রোসফট অফিস ও প্রেজেন্টেশনে নিজেকে ভালো করবেন। সত্য ও তথ্যনির্ভর করে লিংকডইন প্রোফাইল সুন্দর করে শো-কেসিং করা ও লিংকডইনে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় দেওয়া।
চাকরি জীবনের শুরুতেই শুধু ডেস্ক জব ছাড়া কাজ করবেন না- এ মানসিকতা পরিহার করুন। চাকরি জীবনের শুরুতে পারলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করুন এবং বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। বিভিন্ন ডাইভারসিফাইড ইনভায়রনমেন্টে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাই একদিন আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালো করতে শেখাবে। বিজনেসের ভেতরের অপারেশন সম্পর্কে শেখাবে। যা আপনার ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নতি করতে সহায়ক হবে। যদি পছন্দের চাকরি ক্যারিয়ারের শুরুতেই খুঁজে না পান। তাহলে যে কাজের সুযোগ পান সেটা দিয়েই শুরু করুন। পরে পছন্দমত সময়ে পছন্দমত ট্রাকে ক্যারিয়ারটা ঠিক করে নেবেন। চাকরিক্ষেত্রে যেকোনো ছোট বা বড় কাজই আপনাকে অনেক অনেক চাকরি ও বিজনেস সংক্রান্ত বাস্তব অভিজ্ঞতা দেবে। যা আপনাকে অন্যত্র চাকরি পাওয়ার আরও সম্ভাবনা তৈরি করে দেবে। ইদানিং অনেক তরুণ সেলসে ক্যারিয়ার শুরু করতে চায় না। আমি নিজেও চাকরি জীবনের শুরুতে সেলসম্যান ছিলাম। সেলস এমন এক জব, যা আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা, কষ্টসহিষ্ণুতা, মার্কেট বাস্তবতা, লিডারশিপ ও ম্যানেজেরিয়াল স্কিল, কমিটমেন্ট, ক্রেডিবিলিটি, ব্যক্তিগত আয় ও অর্জন অন্যসব চাকরির থেকে বেশি দেবে এবং আপনার ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অন্য যেকোনো পেশা বা চাকরির তুলনায় অনেক অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে। কারণ জীবনে উন্নতি করতে হলে আপনাকে যেকোনো পেশায়ই নিজের ভালো সেলসম্যানশিপ থাকতে হবে।
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। যা আপনাকে কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ দেবে অন্যদের থেকে। পারলে ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিজনেস কমিউনিকেশন, পিপলস স্কিলস এবং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের ওপর শর্ট কোর্স করে নিন। ইউটিউব বা গুগল থেকে শিখে নিন এসব বিষয়ে। নিজেকে টেকনোসেভি অর্থাৎ নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেকে পরিচিত রাখুন। ফেসবুকের প্রফেশনাল ব্যবহার শিখুন। কারণ নিয়োগকারীরা অনেক সময় প্রার্থীর ফেসবুক পেজের অ্যাক্টিভিটি লগ চেক করে ক্যান্ডিডেটের পারসোনাল ক্যারেক্টারস্টিক বোঝার জন্য। তাই ফেসবুক যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, কিন্তু আমাদের দেশে রিক্রুটমেন্ট প্রফেশনালরা ফেসবুক থেকেও অনেক সময় প্রটেশিয়াল ক্যান্ডিডেটদের ফলো করে।
জীবনে সফল হওয়ার জন্য কী করা জরুরি?শিবলী এইচ আহমদ: স্বপ্ন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, জয়ী হওয়ার মানসিকতা, হার না মানা মনোভাব, জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রম অর্থাৎ স্মার্ট ওয়ার্ক এবং নিজের প্রতি কমিটমেন্ট আপনাকে ঠিকই সফল করবে। নিজেকে ও নিজের কাজকে ভালোবাসতে শিখুন, সফলতা তার ভালোবাসা নিয়ে আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে। নলেজ, নেটওয়ার্কিং ও নোটেবল প্রেজেন্টেশনের সাথে প্রতিনিয়ত পরিকল্পিত পরিশ্রম আপনাকে উন্নতির সোপানে নিয়ে যাবে।
এসইউ/এমএস