রাজনীতি

এমপি পদও হারাচ্ছেন লতিফ সিদ্দিকী

সংবিধান ও আইনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও নির্বাচনী আইনের একটি ধারার আওতায় সংসদ সদস্যপদ হারাতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে গতকাল সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি।     আজ মঙ্গলবার যে কোনো সময় দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ স্বাক্ষরিত চিঠি স্পিকারের দপ্তরে পাঠানো হবে। এর পর স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে পাঠিয়ে দেবেন। সেখানেই এর চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। এর আগে সপ্তম সংসদে আদালতের নির্দেশে স্পিকার দু`জন সংসদ সদস্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইসির কাছে পাঠান। ইসি ওই দু`জনের সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদের বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধানে উল্লিখিত যেসব কারণে সদস্যপদ শূন্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে তা সরাসরি প্রযোজ্য নয়। তিনি পদত্যাগ করেননি বা দলের বিপক্ষে ভোট দেননি। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই। তবে তার ক্ষেত্রে আরপিওর (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২) ১২ ধারা কার্যকর হতে পারে।সৈয়দ আশরাফ জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। চিঠি খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। সংসদ ভবন থেকে গিয়েই তিনি স্বাক্ষর করবেন। এর পর তা স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে। স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবেন। সংবিধান অনুযায়ী এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। সূত্র : সমকাল

Advertisement