লাইফস্টাইল

নতুন বছরে নিজেকে সাজান নতুনভাবে

নতুন বছর মানে নতুন কিছু সময়। পেছনে যা ফেলে এসেছেন, তার প্রতি আকর্ষণ না রেখে নতুনের সন্ধানে ছুটে চলার সময়। যা অর্জন করা সম্ভব হয়নি, তার জন্য আফসোস না রেখে নতুন কিছু নিয়ে ভাবার সময়। প্রতিটি বছরের শুরুতেই আমরা অনেকরকম পরিকল্পনা করে থাকি। তবে তার সবটুকু বাস্তবায়িত হয় না সব সময়। তবু কিছু ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে বছরটা শুরু হোক এবং বছরজুড়ে তা ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

Advertisement

পরিকল্পনা: অনেকে বলে থাকেন, পরিকল্পনা করে কিছুই হয় না। একথাটি একদমই ঠিক নয়। পরিকল্পনা করে সবকিছু না হোক, অনেককিছুই সম্ভব হয়। এটি ঠিক যে, আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা জানি না। তাই সামনে কী ঘটতে পারে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই বলে অস্পষ্ট কোনো লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াও উচিত নয়। তাই নতুন বছরের শুরুতে পুরো বছরের একটি পরিকল্পনা করে নিন। বছরের কোন সময়ে কোন কাজটি করলে তা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে, সে বিষয়ে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া থাকলে কাজগুলো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

নিজেকে গুছিয়ে নিন: নিজের সুস্থতা, নিজের সতেজতা সবার আগে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ আপনি যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকেন তবে বাকি কোনোকিছুই আপনার ভালোলাগবে না, কোনো কাজই পুরোপুরি মন দিয়ে করতে পারবেন না। তাই বছরের শুরুতেই নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার কাজটা করুন। খাওয়া-দাওয়ার সঠিক তালিকা নির্বাচন করুন। পুষ্টিকর খাবার খেতে চেষ্টা করুন। নিয়মিত পানি পান করুন। নজর রাখুন ত্বকের প্রতিও। কারণ ভেতর-বাইরে সমানভাবে সতেজ না থাকলে আপনাকে দেখতে অনেকটাই ম্লান লাগবে। নিজে নিজে যত্ন নেয়ার সময় না পেলে চলে যান ভালো কোনো স্পায়ে। হোল বডি স্পা, ফেসিয়াল, হেড মাসাজ, হেয়ার স্পা করে যখন উঠবেন, দেখবেন পুরো নতুন ‘আমি’কে আবিষ্কার করছেন!

চাপমুক্ত থাকা: কোনোকিছু নিয়েই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকে। তাই যেকোনো সমস্যায় সবার আগে তার সমাধান ভাবার চেষ্টা করুন। নিজে নিজে সমাধান না পেলে কাছের কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। আর যদি আগেভাগেই দুশ্চিন্তা এসে ভর করে তবে সমাধান পাওয়া সহজ হবে না। মাঝখান থেকে আপনি বিমর্ষ হতে থাকবেন। তাই কোনোকিছুই নিজের জন্য অপরিহার্য ভেবে নেবেন না। বরং সবকিছু স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে শিখুন। স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে পারবেন।

Advertisement

বন্ধুত্ব: বন্ধু ছাড়া জীবন আসলেই অসম্ভব। আপনার যদি অন্তত একজন বন্ধুও থাকেন, তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। এই বন্ধুত্ব হতে পারে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবা বাইরে। নতুন বছরে সবার সঙ্গে নতুন করে মিশুন। যাদের সঙ্গে নানা ব্যস্ততায় সম্পর্কে ভাটা পড়েছে, চেষ্টা করুন তা জাগিয়ে তুলতে। আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারেন, বন্ধুদের সঙ্গে মাসে অন্তত একদিন আড্ডা হতে পারে। দূরে থাকলে মা-বাবা, ভাই-বোন সবার খোঁজ নিন, কাছে থাকলে প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় তাদের সঙ্গে গল্প করুন।

বেড়ানো: মন ভালো রাখতে বেড়ানোর বিকল্প নেই। নতুন কোনো জায়গা থেকে ঘুরে এলে আপনার মনটা অনেক বেশি ফুরফুরে থাকবে। তাতে কাজের প্রতি মনযোগও বাড়বে অনেক গুণ। তাই বছরের কোন কোন সময়ে ছুটি মিলবে, আর আপনি কোথায় কোথায় বেড়াতে যেতে পারবেন বছরের শুরুতেই সেই পরিকল্পনা সেরে রাখুন। বেড়ানোর জন্য আলাদা করে টাকা জমান, তাতে করে বাজেট স্বল্পতার জন্য বেড়ানো ক্যান্সেল করতে হবে না।

শখের কাজ: নিজের শখের ছোট ছোট কাজের মধ্যেই মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। তাই নতুন বছরেও শখগুলোকে বাঁচিয়ে রাখুন। গাছ লাগাতে ভালোবাসলে বাড়িতেই ছোটখাট বাগান করে নিতে পারেন। রাঁধতে ভালোবাসলে নতুন নতুন রেসিপি শেখার চেষ্টা করুন। পড়তে ভালোবাসলে পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করুন। বেড়াতে ভালোবাসলে বেড়িয়ে পড়ুন হুটহাট। নিজের ভালোবাসা এবং ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিতে শিখুন। তাতে দিনশেষে নিজেকে একজন সুখী মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করতে পারবেন।

এইচএন/জেআইএম

Advertisement