লাইফস্টাইল

শিশু খেতে না চাইলে

শিশুরা খেতে চায় না। জোর করে খাওয়াতে হয় প্রতিদিন। খাবার নিয়ে ঘুরতে হয় ঘরময়। তারপরও খাবারের প্রতি অনীহা থাকে শিশুর। ফলে পুষ্টিহীনতায় ভুগে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় ব্যাহত। এ সমস্যায় পড়েন না এমন মা খুঁজে পাওয়া ভার। দিনে দিনে এক সময় শিশুর এ আচরণ দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মায়ের। কিন্তু একটু কৌশল করে পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই শিশুকে খাওয়ানো যাবে সহজে।নিয়মিত খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং শিশুর কাছে খাবার গ্রহণ আনন্দময় করার জন্য নিচের টিপসগুলো কাজে দেবে।খাবার দিতে হবে নিয়মিত। শিশুর ক্ষুধা লেগেছে কিনা; এই চিন্তা করে যখন তখন শিশুর সামনে খাবার হাজির করা উচিত নয়। এতে খাবারের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই তার অনীহা তৈরি হয়। শিশু খাবার খাওয়াকে ঝামেলা মনে করে। তাই রুটিন করে তাকে খেতে দিন। খেয়াল করুন তার খাওয়ার চাহিদা কখন তৈরি হচ্ছে।জোর করে খাওয়াতে যাবেন না কখনওই। এতে শিশু বিরক্ত হয়ে উঠতে পারে। ফলে খাবারের প্রতি তৈরি হতে পারে এক ধরনের ভয়। সেই অবস্থায় খাবার দেখলেই দূরে সরে যেতে পারে শিশু। সুতরাং শিশুকে খেতে দিন তার ইচ্ছে মতো। যাতে খাবার গ্রহণ করাকে আনন্দময় লাগে তার কাছে। শিশুর ক্ষুধা লাগার সময় বোঝার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠিয়েই শিশুকে খেতে দেয়া উচিত নয়। এ ছাড়া খেলার ফাঁকে হঠাৎ করেই শিশুকে ধরে খেতে বসিয়ে দেয়াও অনুচিত।শিশুর সামনে খাবার পরিবেশন করুন অভিনব উপায়ে। এ ক্ষেত্রে রঙবেরঙের প্লেট-গ্লাস-কাপ ব্যবহার করতে পারেন। শিশুর প্রিয় খেলনা সামনে রাখতে পারেন। তবে কখনোই টিভিতে কার্টুন দেখতে বসিয়ে শিশুকে খাওয়াতে যাবেন না। এতে খাবারের প্রতি শিশুর মনোযোগ বাড়বে না। সেই সঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে খাবার খাওয়াকে অভ্যাস পরিণত করবে শিশু, যা মোটেও উচিত নয়।শিশুর জন্য অবশ্যই তার পছন্দের খাবার পরিবেশন করুন। তবে সব সময় এক ধরনের খাবার দেবেন না। বিভিন্ন রকমের খাবার দেবেন। এতে শিশু নানারকম খাবার খেতে শিখবে এবং বেছে বেছে খাওয়ার বদঅভ্যাস তৈরি হবে না। শাক-সবজির সবরকম পদ, মাছ-মাংস সবই পরিমিত পরিবেশন করা উচিত।খাওয়ার সময় শিশুকে উৎসাহ দিন। সে যে ঠিক মতো খাচ্ছে- এ জন্য তাকে ভালো কথা বলুন। সে খুবই ভালো, ঠিক মতো খায়, খেতে ডাকলেই চলে আসে; এ ধরনের কথা বলে শিশুকে আনন্দ দিন। এতে খাবার গ্রহণ করাটা শিশুর কাছে বেশ আনন্দময় হয়ে উঠবে। শিশু খাবার গ্রহণে আগ্রহী হবে।শিশুর প্লেট ভরে খাবার দেবেন না। খাবারের বিভিন্ন প্রকার অল্প অল্প করে দিন। পুরোটা খেয়ে ফেললে, শিশুর প্রশংসা করুন। তারপর আরও যদি খেতে আগ্রহ দেখায় তবে আবার দিন। এক সঙ্গে বেশি খাবার দেখলে শিশু আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ভাববে এত খাবার সে খেতে পারবে না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে শিশু। যা তার খাওয়ার প্রতি আগ্রহও কমিয়ে দেবে।শিশুকে সব সময় খাইয়ে দেবেন না। শিশু যদি নিজ হাতে খেতে চায়, তবে দেখিয়ে দিন কীভাবে খেতে হয়। এ সময় তাকে অবশ্যই হাত ধুইয়ে দেবেন। এতে শিশু খাবার আগে হাত ধুতে অভ্যস্ত হবে। এবং তাকে ডান হাতে খেতে শেখান।

Advertisement