নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। কার্যালয়ের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। তিনি মাসে ২ থেকে ৪ দিন অফিস করেন। বাকি সময় কার্যালয়ে তালাবদ্ধ থাকে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।জনস্বাস্থ্য অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ৪ বছর আগে উপজেলার জনস্বাস্থ্য অধিদফতর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পান মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাসে ২ থেকে ৪ দিন অফিস করেন তিনি। বাকি সময় তিনি ব্যক্তিগত কাজে উপজেলার বাইরে থাকেন। মাঝে মাঝে সহকারী কর্মকর্তা আলী আকবর কার্যালয়ে আসেন। তাও ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় দিয়ে চলে যান। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার টিউবওয়েলগুলোতে পানি বিশুদ্ধ আছে কিনা, পানি খাবার উপযোগী করে নিশ্চিত করা, নির্মাণাধীন টিউবওয়েলগুলো সচল আছে কিনা, গ্রাম, পাড়া মহল্লাসহ অলিগলিতে খোলা পায়খানা বন্ধে মানুষকে সচেতন করা, স্যানেটেশন বিষয়ে মানুষকে ধারণা দেয়াসহ বিভিন্ন উপদেশমূলক কার্যক্রম করার কথা থাকলেও এসব কিছুই করা হয় না। জানা গেছে, ২০১৩ সালে সরকারের বরাদ্দকৃত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮০টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। স্থাপিত টিউবওয়েলগুলো বেশির ভাগই অকেজো হয়ে পড়েছে। এ সকল টিউবওয়েল মেরামত বা দেখভাল করার কথা থাকলেও তারা তা করেন না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ঘরের মানুষগুলো স্যানেটেশন বিষয়ে পরামর্শর জন্য এসে জনস্বাস্থ্য কার্যালয় বন্ধ থাকতে দেখে চলে যান। দাউদপুরের বৈলদা এলাকার কৃষক আমির আলী জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের কার্যালয়ে গিয়েও লোকজন পাওয়া যায় না। সকালে গেলে বলা হয় বিকেলে আসেন। আবার বিকেলে গেলে বলা হয় সকালে আসেন। তাই কেউ কোনো পরামর্শের জন্যও এখন ওই কার্যালয়ে যান না। ভুলতা এলাকার ইমান আলী বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করতো তাহলে মানুষ এ সকল বিষয়ে অনেকটা সচেতন হতো। সমাজ সেবিকা শামিমা সুলতানা ওমা জাগো নিউজকে বলেন, এখনও বেশ কয়েকটি গ্রামে খোলা পায়খানা ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই সকল গ্রামে স্যানেটেশন বিষয়ে প্রচার চালানো দরকার। এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-সহকারী মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, কার্যক্রম নিয়মিত হচ্ছে। এছাড়া অফিসের কাজে বেশির ভাগ সময়ই আমার বাইরে থাকতে হয়। তাই অফিসে অনেকে পান না। এছাড়া যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে ঈদের পর অফিসে আসেননি বলে তিনি দাবি করেন। অপর সহকারী কর্মকর্তা আলী আকবরের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মীর আব্দুল আলীম/এসএস/এমএস
Advertisement