প্রশ্ন
Advertisement
হে কৃপা,ঈশ্বরের মন নরম হল বুঝি!তুমি যে, সাতসকালে আমার দ্বারেভুল ঠিকানায় নয়তো?
কারণ
লুকিয়ে কবিতার বাঁকে, শূন্যতা খুঁজতে এসেছিকারণ, এখানে শরীরের ভাষা বোঝেরেণুতে ঘ্রাণ ওড়ে।
Advertisement
২.পাখাগুলো জন্মানোর সাথে সাথেস্বর্গলোভে কাঙ্গাল হয় পিঁপড়ার দল।আগুন দেখেই ঝাঁপ দেয় মনের আনন্দে,কারণ, সৃষ্টি মাত্র মৃত্যুসে কথা তাদের জানা নেই।জানা নেই কোনটায়অমরত্ব।
পিওনি
শহরের সোডিয়াম লাইটে আমি মানুষ চিনি নাসকলের অভিন্ন নাম, মুখ, চোখচোখের ভেতরে আর একটি শহরইশশ! কী বিষণ্ন, কী নিস্তব্ধযেনো কাফন শুভ্র, গোর আঁধারবিশ্বাস করো পিওনি।
তোমার গোলাপি পাপড়ির ভাঁজে আমাকে একটু লুকাতে দাও।
Advertisement
এখানে জল গড়ায় না শুকিয়ে যাওয়ার ভয়েধরা হয় গলা চেপে অঙ্কুর হওয়ার আগেপ্রতিযোগিতা হয় নিজেদের সাথেকার চেয়ে কে কতটা ডুবতে পারেআপন খোলসে।
পিওনি, আমি ফিরতে চাই সোডিয়াম লাইট ছেড়েতোমার মনোহর পল্লীবুকে।
শর্তহীন সঙ্গী
পৌষের কারুকার্যের ঘোরে থমকে গেছিলাম বাউলাইয়ের তীরে। সেখানেই একটি হলুদ উস্তেপাতা বলেছিল সুদীর্ঘ ভ্রমণকথা। মোরগঝুঁটির এই বনেদি পথ ধরে কোন এক অঘোর সন্ধ্যায় গিয়েছিল সে, সজনে ফুল কুড়াতে। কঁচি ধানের দুধের মতো বেরসিক জ্যোৎস্না, তার আগেই লুটে নিয়েছে।
তবুও খুব গোপন এক খুশবু পেয়েছিল। তারপরই পাড়া থেকে মহল্লা, মহল্লা থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বিরতিহীন ছুটে চলা রহস্যের খোঁজে...
আমাকেও সে বিনাশর্তে সঙ্গী করতে রাজি আছে।
এসইউ/জেআইএম