দেশজুড়ে

স্বামীকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা : তিন বখাটে আটক

স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজারে তিন বখাটে যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার থেকে তিন বখাটে যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে সুধারাম থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে রাশেদ (২০), একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৮) ও আবু তাহেরের ছেলে মানিক (২০)।স্থানীয়রা  জানায়, পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের নাসির আহমদের মেয়ে পারভীন আক্তার তার স্বামী ইউসুফ মিয়াকে নিয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে গৃহবধূ পারভীন স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসার পথে পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের মুজাহিদ কলোনী সংলগ্ন পুলের উপর একই এলাকার রাশেদ, মিরাজ, মানিক, লিটন ও রাজু সহ পাঁচ বখাটে যুবক তাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে ওই বখাটে যুবকরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে গৃহবধূকে পার্শ্ববর্তী জমিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই গৃহবধূর আর্তচিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ইমরান উদ্দিন এগিয়ে আসলে বখাটেরা তাকে ছোরা নিয়ে ধাওয়া করে। পরে ইমরান উদ্দিন আরো কযেকজনের সহযোগিতায় পাল্টা ধাওয়া করে গৃহবধূ পারভীনকে উদ্ধার করেন।এলাকার মানসম্মানের বিষয় হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই স্থানীয় লোকজন ফুঁসে উঠতে থাকে। একপর্যায়ে কয়েকশ’ জনতা উত্তেজিত হয়ে ওই পাঁচ যুবককে আটকের উদ্দেশ্যে তাদের বাড়িঘরে অভিযান চালায়। এসময় স্থানীয় জনতা রাশেদ, মিরাজ ও মানিককে আটক করে উত্তর ওয়াপদা বাজারে এনে বেঁধে রাখে। অপর দুই বখাটে যুবক পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের সফি উল্যার ছেলে লিটন (১৮) ও হোসেন মিয়ার ছেলে রাজু (১৯) পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় সমাজপতি আবদুর রহমান সুধারাম থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তিন বখাটে যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয় পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   মিজানুর রহমান/এসএইচএস

Advertisement