কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় উপত্যকার যেসব নেতাকে আটক করা হয়েছিল প্রায় পাঁচ মাস পর সোমবার তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেয়া হয়নি।
Advertisement
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তি পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, ইশফাক জব্বার ও গুলাম নবী ভাট (ন্যাশনাল কনফারেন্স), বশির মির (কংগ্রেস), জাহুর মির এবং ইয়াসির রেশি (পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি)। সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের ‘রাজধানী’ শহর শ্রীনগর থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
তবে আটক রাখা হয়েছে কাশ্মীরের তিন প্রধান নেতা ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি। তাদের মুক্তির ব্যাপারে এখনো কোনো দিন ধার্য করা হয়নি তবে তাদের ‘উপযুক্ত সময়েই’ মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদের সময় থেকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে আটক করা হয়েছিল এসব নেতাদের। অবশেষে শ্রীনগরে গত পাঁচ মাস ধরে বন্দি কাশ্মীর বিধানসভার পাচ সাবেক বিধায়ককে মুক্তি দেয়া হয় আজ। তবে সেখানে এখনো বন্দি রয়েছেন ৩০ জনেরও বেশী সাবেক মন্ত্রী ও বিধায়ক।
Advertisement
গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (অনুচ্ছেদ ৩৭০) বাতিল করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদি সরকার। তার আগেই সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ দমনে সেখানে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনা। তারপরই রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
অপ্রত্যাশিত এই পদক্ষেপে সরকারের বিরুদ্ধে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত না হয়ে ওঠে বা বিদ্রোহ না হয়, তার জন্য রাজ্যের বেশীরভাগ রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট-মোবাইল সংযোগসহ যোগাযোগের সব উপায় বন্ধ রাখা হয়। ১৪৫ দিন পর গত শুক্রবার কাশ্মীরে আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়।
সরকারের জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক খান এনডিটিভে-কে বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক কারণ, এই সমস্ত নেতাকে আটক করা হয়। তাদেরকে কেনো আটক করা হয়েছে তা খুব পরিষ্কার। সরকার এই নেতাদের আটক করার কারণেই জম্মু ও কাশ্মীরে কোনো রক্তপাত হয়নি।
এসএ/জেআইএম
Advertisement