দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন স্ত্রী। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরা স্ত্রীকে কর্মস্থল থেকে দেখতে আসেন স্বামী। রাতে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দোকানে যেতে বাইরে বের হন তিনি। অকস্মাৎ এক দল দুর্বৃত্ত তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। র্যাবের টহল দল তাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। নিহত স্বামীর নাম মুহাম্মদ আক্কাছ। তিনি মহেশখালির কালারমারছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে দুর্বৃত্তদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন কক্সবাজার শহরের কলাতলীর বাসিন্দা হাসিনা বেগম। হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর কলাতলীর টিএন্ডটি টাওয়ার সংলগ্ন ভাড়া বাসায় ফিরেন হাসিনা। সুস্থ হয়ে স্ত্রী বাড়ি ফিরেছে খবর পেয়ে টেকনাফের কর্মস্থল থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেন স্বামী আক্কাছ। ওই দিন রাতে ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হলে সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে জেলা পুলিশ লাইন সংলগ্ন উত্তরণ পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখে। র্যাব-৭’র একটি টহল দল আহত আক্কাছকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি ইনচার্জ লে. কমান্ডার এস এম সাউদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩ টার দিকে মহাসড়কের পাশ থেকে একজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় উখিয়ার কুতুপালংয়ের এমএসফ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের শরীরের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার পুরো শরীর থেতলানো। তবে হত্যার কারণ ও কারা জড়িত জানা সম্ভব হয়নি। সায়ীদ আলমগীর/এসএইচএস
Advertisement