খেলাধুলা

আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকের হাতছানি নারী ফুটবলারদের

অর্ধযুগ পর শুরু হতে যাওয়া লিগে নারী ফুটবলারদের সামনে আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকের হাতছানি। ক্লাব থেকে মেয়েদের পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকায় উঠেছে। তবে ৫ লাখ টাকা পাওয়া মেয়ে বেশি নেই। সাড়ে চার লাখ টাকা করে পাচ্ছেন বেশ কয়েকজন নারী ফুটবলার।

Advertisement

এবারে লিগে অংশ নেবে ৬ ক্লাব। শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। তার আগে ১১ থেকে ২৬ জানুয়ারি হবে দলবদল। প্রথমে বসুন্ধরা কিংস, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, এফসি উত্তরবঙ্গ ও বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। শনিবার ষষ্ঠ দল হিসেবে খেলার এন্ট্রি করেছে নাসরিন স্পোর্টস ক্লাব। ৬ দল নিয়ে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।

৬ দল লিগে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল তৈরি করছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বাফুফের অধীনে জাতীয় দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে যে মেয়েরা সাড়া বছর ক্যাম্পে থাকেন তাদের নিয়েই দল গড়তে যাচ্ছে এ দুটি ক্লাব।

লিগের ৬ ক্লাব ২৩ জন করে ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে। সে হিসেবে ১৩৮ জন মেয়ের খেলার সুযোগ হবে। সবাই লাখ লাখ টাকা পারিশ্রমিক না পেলেও বাকিদের হাতে উঠবে সম্মানজনক টাকা। যে পরিশ্রমিকের জন্য মেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ফুটবল খেলার জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন।

Advertisement

৬ বছর লিগ হয়নি। এ নিয়ে বাফুফেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আসলে মেয়েদের ক্যাম্পে রেখে অনুশীলন করানোর পর ক্লাবের হাতে দিলে তাদের পারফরম্যান্স ঠিক থাকে কিনা সে শঙ্কাও কাজ করেছে বাফুফের মধ্যে। এ শঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন না দেশের নারী ফুটবলের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তবে তিনি বলেছেন, ’নতুন করে লিগ আবার শুরু হচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

২০০৯ সালের জুন থেকে মেয়েদের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন গোলাম রাব্বানী ছোটন। দেশের মেয়েদের ফুটবল উন্নতি হচ্ছে ছোটনের কোচিংয়ে অভ্যস্থ হয়ে। তবে কৃষ্ণা-মারিয়াদের জন্য ভালো খবর হলো ক্লাব ফুটবলেও তারা তাদের পুরনো কোচদের পেতে পারেন। কারণ গোলাম রব্বানী ছোটন, মাহবুবুর রহমাল লিটু আর মাহমুদা আক্তার অনন্যাদের লিগে দেখা যেতে পারে কোনো না কোনো ক্লাবের ডাগআউটে।

কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিচ্ছেন কিনা এবং কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মেয়েদের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ’আমি সব সময়ই প্রস্তাব পাই। এবারও পেয়েছি। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত করিনি। কারণ, এখানে বাফুফের একটা সিদ্ধান্তের বিষয় আছে।’

এ বিষয়ে বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘লিগের সময় জাতীয় দলের ক্যাম্প ছুটি থাকবে। তারপরও কোচদের ক্লাবের দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি।’

Advertisement

বাফুফে থেকে অনুমতি মিললে গোলাম রাব্বানী ছোটন ও মাহবুবুর রহমান লিটুকে শেখ রাসেলের কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে। আর মাহমুদ আক্তার অনন্যাকে দেখা যেতে পারে বসুন্ধরা কিংসের ডাগআউটে। গোলাম রাব্বানী ছোটন অবশ্য বলেছেন, কোনো ক্লাবের সঙ্গে তিনি কথা পাকা করেননি। বাফুফের অনুমতির আগে সেটা করবেনও না।

আরআই/এসএএস/এমএসএইচ