জাতীয়

‘সমবায়কে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে’

পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় সাধারণের আর্থিক উন্নয়নের পথ সমবায়। তাই সমবায়কে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘‘প্রচলিত সমবায় আইন সংস্কার এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অধিকার’’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

Advertisement

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সমবায় পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র স্বাধীন সংস্থা রাখার বিধান আইনে রাখতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে সমবায়কে সহযোগিতা করার জন্য মনিটরিং করা হয়, কিন্ত এই রেওয়াজ আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। দেখা যায় মৎস্যজীবী সমবায়ে অমৎস্যজীবীর দৌরাত্ম। এ কারণে পিছিয়ে পড়া মানুষের সমবায় গড়ে তোলার সুযোগ থাকে না। সমবায়ের উদ্দেশ্য সুষম বণ্টন। তাই সম্পদের সুষম বণ্টন ও মানুষের আয় বৈষম্য কমাতে সমবায় অতি গুরুত্বপূর্ণ।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সমবায় আইনটি সমবায় গঠনের অন্তরায়। সাধারণ মানুষের সমবায়কে এই আইন স্বীকৃতি দেয় না। কারণ, সমবায়ের কথা বলতে গেলে অবশ্যই সমবায় অধিফতরের নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সংবিধানের ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পদের মালিকানায় সমবায় মালিকানাকে ২য় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সমবায় আইনের সংস্কারের পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া আইন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পল্লী ঋণের জন্য সমবায়কে গুরুত্ব দেয়া হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রকৃত কৃষক, ভূমিহীন, তাঁতি, মৎস্যজীবীরা সমবায়ের নিবন্ধন ও সুবিধা পায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রওশন আরার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গ্রীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রিজওয়ানুল ইসলাম প্রমুখ।

Advertisement

এএস/এনএফ/জেআইএম