২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান বাংলাদেশের প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর। আজ একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
Advertisement
সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৩৫ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সৃষ্টিকর্মের বেশিরভাগই গ্রাম এবং গ্রামের প্রকৃতি নিয়ে। ১৯৫০-এর দশক থেকে একাধারে কাজ করেছেন। নানা চিত্রকর্মের মধ্যে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে করা কাজ ‘আত্মার উজ্জীবন’ উল্লেখযোগ্য।
প্রায় ২২ বছর পেশাদার চিত্রকর হিসেবে কাজ করার পর তিনি ১৯৭৭ সালে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পকলা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। সৈয়দ জাহাঙ্গীর শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন এবং শিল্পকলা একাডেমিতে চারুকলা বিভাগ চালু করেন।
চাকরি জীবনে তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে- দ্বিবার্ষিক এশীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীর প্রবর্তন করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিলে জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখায় তার বিশালাকার ম্যূরাল রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর তার বিখ্যাত প্রদর্শনী ও সিরিজের নাম হচ্ছে- ‘আত্মার উজ্জীবন,’ ‘উল্লাস,’ ‘ধ্বনি,’ ‘অজানা অন্বেষা’। ১৯৭৪-৭৫ সালে ঘুমোট রাজনীতি নিয়ে সিরিজ ও প্রদর্শনী করেছিলেন ‘অশনি সংকেত’ নামে। তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে একাধিক প্রদর্শনী করেছেন।
Advertisement
সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯২ সালে চারুশিল্পী সংসদ তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। ২০০০ সালে মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার এবং ২০০৫ সালে শশীভূষণ সম্মাননা লাভ করেন। ২০১০ সালে বার্জার পেইন্টস বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। এছাড়া তিনি হামিদুর রহমান পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
এসইউ/জেআইএম