দেশজুড়ে

খুলনায় বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার

খুলনা জেলায় অবস্থানরত ৫৯ জন বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এসব বিদেশি নাগরিকরা চার্চ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মরত। খুলনায় অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্য যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ইতালি, চীন, জাপান ও থাইল্যান্ডের নাগরিকই বেশি। ইতালিয়ান নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যাকাণ্ডের পর খুলনায় বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন এনজিওর ব্যানারে বিদেশি নাগরিকরা আসতে শুরু করেন। আর ৮০’র দশকে তাদের আগমনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। খ্রিস্টানদের ক্যাথলিক ও ধর্ম যাজকদের পাশাপাশি তাদের অনুসারীরা আসতে শুরু করেন। মহানগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, মহেশ্বরপাশা, রূপসা উপজেলার নৈহাটি, বটিয়াঘাটা ও দাকোপের চালনা বাজারে ৫৯ বিদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) সিএ হালিম জানান, উপজেলা পর্যায়ে বিদেশিদের যাতায়াত এবং প্রতিদিনের অবস্থান পুলিশকে অবহিত করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে থানা ও ফাঁড়ির পুলিশকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। রূপসা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। গোয়েন্দা পুলিশ তাদের রাত্রিকালীন অবস্থানগুলোর ওপর নজরদারী রাখছেন বলে এ সূত্র জানায়। কেএমপির অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান খান মিঠু জানান, খ্রিস্টানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’তে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বর আপডেট করে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। রূপসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন জানান, কুদির বটতলা আব্দুল ওয়াদুদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল, বাইবেল কলেজ ও নৈহাটিতে একটি এনজিওতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। বিদেশিরা নিরাপত্তাহীনতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করলে সেখানে তাৎক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ উপজেলায় কর্মরত বিদেশিরা রাত্রে মহানগরীর এলাকায় অবস্থান করেন। দাকোপ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলায় ছয়জন বিদেশি নাগরিককে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। এখানে কর্মরতরা ইতালির নাগরিক। তারা একটি স্কুল ও একটি চার্চে কর্মরত। থানা সংলগ্ন এলাকায় তারা দিন-রাত অবস্থান করেন। দাকোপ উপজেলা সদরের চালনা বাজারের আছাব ভুয়া নামক সিলোডিজুডা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইতালিয়ান নাগরিক এ্যালেস এ্যামব্রো জানান, তাদের নিরাপত্তার অভাব নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও থানার ওসি তাদের দেখভাল করেন। থানা পুলিশের সাহায্য চাইলে পান বলে তিনি দাবি করেন। চালনা বাজারে অবস্থানরত মাইকেল ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ফাদার সেরাফিন জানান, এখানে বিদেশিরা নিরাপত্তার মধ্যেই আছেন। তাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই।আলমগীর হান্নান/এআরএ/পিআর

Advertisement