রাজনীতি

ফখরুলই হচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব

টানা চার বছর পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবার চূড়ান্ত ফল পেতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খুব শিগগিরই ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, মহাসচিব পদ পাওয়ার দৌড়ে ফখরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই ছিটকে পড়েছেন। দলের বিপদের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পুরস্কার হিসেবে তাকে মহাসচিব করা হচ্ছে। লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ফখরুলকে ভারমুক্ত করতে পারেন  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনে বসেই ভারমুক্ত করার সব প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন খালেদা। বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিলের পর দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পান প্রয়াত নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান তিনি। এরপর দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে ভারমুক্ত করা হয়নি। সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রায় দুই মাস সিঙ্গাপুর-নিউইয়র্ক চিকিৎসা শেষে ২১ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন তিনি।দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে কাউন্সিল করার চিন্তা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপি নেত্রীর (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানের বিশদ আলোচনা হয়েছে।  ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে মির্জা আলমগীরের দায়িত্ব পালন নিয়ে সন্তুষ্ট বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারেক রহমানও এ ব্যাপারে ইতিবাচক। সেজন্য আসন্ন কাউন্সিলে মির্জা ফখরুলকে ভারমুক্ত করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়ে মির্জা আলমগীর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটির বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন এবং প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফল হন। ঢাকা-চট্টগ্রামের নেতাদের বিরোধ যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেই উদ্যোগ নিয়েও সফল হন তিনি। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি সংঘাতপূর্ণ না করে শান্তিপূর্ণ করার চেষ্টা চালিয়ে দলের বাইরেও প্রশংসিত হন।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পূর্ণ মহাসচিব করার বিষয়টি ‘বহুল প্রত্যাশি’  জানিয়ে বিএনপির  জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি মহাসচিব হচ্ছেন, এই বিষয়টি বহু প্রত্যাশিত এবং অতি অনিবার্য। দলের সব নেতা-কর্মীদের কাছেও এটি বহু প্রতিক্ষীত। এর সুরাহা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো। তবে কেন হয়নি জানিনা। এমএম/জেডএইচ/পিআর

Advertisement