জাতীয়

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও দুই ড্রিমলাইনার উদ্বোধন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টার্মিনাল উদ্বোধনের পর জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হওয়া ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুটি উড়োজাহাজ ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ উদ্বোধন করেছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ও উড়োজাহাজ দুটি উদ্বোধন করেন তিনি।

টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যাত্রীদের আরও সেবার মান নিশ্চিত করতে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এটি আগের দুই টার্মিনালের চেয়ে চার গুণ বড় হবে। নতুন এ টার্মিনাল ভবন বছরে কমপক্ষে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রী ধারণে সক্ষম। জাপানের মিতসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসাংয়ের একটি কনসোর্টিয়াম- এর নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের দায়িত্ব পেয়েছে।

এদিকে উড়োজাহাজগুলো উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সেগুলোতে আরোহণ করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

Advertisement

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, বিমান সচিব মহিবুল হক, বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের জন্য আরও নতুন দুটি ড্রিমলাইনার কেনার ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ উড়োজাহাজ কেনা হয়। এগুলোর নামকরণও করেন প্রধানমন্ত্রী।

অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজ দুটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়টিতে।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হয় ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’, ‘হংসবলাকা’ এবং চলতি বছরে যুক্ত হয় ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’।

Advertisement

বিমানের সবগুলো ড্রিমলাইনারের নামই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন দুটিসহ বিমানের বহরে বর্তমানে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১২। বাকি ৬টি লিজে আনা।

এফএইচএস/এফআর/এমএস