যশোরের চৌগাছায় গণপিটুনির শিকার বিএনপির কর্মী মারুফ হোসেনের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রতিবেশির স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি গণধোলাইয়ের শিকার হন। নিহত মারুফ হোসেন চৌগাছা সদরের উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।এলাকাবাসী জানায়, বিএনপি কর্মী মারুফ হোসেনের সঙ্গে তার প্রতিবেশি একই দলের কর্মী মমিনুর রহমানের স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম ছিল। মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর বাড়িতে যান মারুফ হোসেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাকে হাতে নাতে ধরে গণধোলাই দিলে মারাত্মক আহত হন মারুফ হোসেন। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে সামান্য আহত হন তার স্ত্রী ও ছেলে। তাদের সকলকে ওই রাতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয় চৌগাছা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় দুপুরের দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক কাজল কান্তি মল্লিক তার মরেদেহ মর্গে প্রেরণ করেন।চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বিএনপি কর্মী মারুফ হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে তা পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মিলন রহমান/এআরএ/পিআর
Advertisement