বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ সমাপ্তির পর এটি হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মেলন কক্ষে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধনের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মাহবুব আলী বলেন, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এই টার্মিনাল নির্মাণ সমাপ্তির পর তা হবে সবার প্রত্যাশার একটি সুন্দর ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেভাবে আকাশে শান্তির নীড়, আমাদের নতুন টার্মিনালও হবে ভূমিতে শান্তির পরশ।
Advertisement
বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেবার মানোন্নয়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মাহবুব আলী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কিছু ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি যেভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরের উন্নয়নে চেষ্টা করেন, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এই ধারা থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ, প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। আগামী ৪৮ মাসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
মহিবুল হক বলেন, এ টার্মিনাল নির্মিত হলে বছরে ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। টার্মিনালটি এমন একটি ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যেন কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে।
Advertisement
সচিব বলেন, নতুন টার্মিনাল হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজে সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্মাণকাজ আগামী শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুই ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ উদ্বোধন করবেন। একইসাথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করবেন তিনি।
আরএম/এইচএ/পিআর