গত এক সপ্তাহে কুয়ালালামপুর, মদিনা এবং দাম্মাম থেকে আসা বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারণে ডাইভারশন হয়ে ঢাকার পরিবর্তে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। ডাইভারশনের কারণে ঢাকা-লন্ডন-ঢাকাসহ বেশ কিছু রুটের ফ্লাইট শিডিউলেও দেখা যায় ভয়াবহ বিপর্যয়। ফলে ঘন কুয়াশার কারণে বিমানের ফ্লাইট সিডিউল ঠিক রাখতে হিমিশিম খাচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগ।
Advertisement
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে বিমানের কোনো ফ্লাইট সিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে যাত্রী ভোগান্তি চরমে ওঠেছে। দেশ-বিদেশের বিমানবন্দরে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
সৌদি আরবের দাম্মাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, পাইলট রানওয়ে দেখতে না পেয়ে ঢাকার পরিবর্তে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করান। কিন্তু ওই এয়ারপোর্টে বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রম না থাকায় সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রী উড়োজাহাজ থেকে নামার অনুমতি পাননি। যার কারণে তাদের উড়োজাহাজের ভেতরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিসি থেকে অনুমতির পর পাইলট উড়োজাহাজটি শাহজালালে অবতরণ করান।
জানা গেছে, দাম্মাম থেকে ৩৬০ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (বিজি-০৪০০) বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের শিডিউল ছিল। কিন্তু ঢাকার আকাশে আসার পরই পাইলট ভিজিবিলিটি (দৃষ্টির ক্ষেত্র) দেখতে পান একেবারে শূন্যে। এরপর পাইলট উড়োজাহাজ ঘুরিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে যান।
Advertisement
এটিসি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন জানান, ঢাকার রানওয়েতে উড়োজাহাজ অবতরণ করাতে হলে ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিক্ষেত্র) কমপক্ষে ৮০০ মিটার থাকার নিয়ম রয়েছে। এর নীচে হলে এটিসি থেকেই উড়োজাহাজ নামার অনুমতি দেয়া হয় না।
আরএম/এএইচ/এমএস