চলতি বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বটা ছিল টিম চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য পয়মন্ত। ঢাকায় ১১ ডিসেম্বর থেকে যে প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল, তাতে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ছিল তিন নম্বরে। সে পর্বে শীর্ষে ছিল রাজশাহী রয়্যালস।
Advertisement
তবে বন্দর নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে ভাগ্য বদল ঘটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঐ পর্বে চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে এখন সবার ওপরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাই ধরেই নেয়া যায়, চট্টগ্রামের টিম কম্বিনেশনের সঙ্গে সাগরিকার পিচের সমন্বয় ছিল যথার্থ। টিম চট্টগ্রাম ঐ শতভাগ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই ভাল খেলেছে বেশি।
তাই চট্টগ্রাম ক্রিকেটারদের পছন্দ এখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মত ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ। আজ (বৃহস্পতিবার) শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে অনুশীলনের এক পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ইমরুল অনেক কথার ভিড়ে বারবার উইকেটের প্রসঙ্গ টানছিলেন এবং বলছিলেন তার বিশ্বাস এ পর্বে শেরে বাংলার পিচ ভাল আচরণ করবে।
প্রথম পর্বেও পিচের গতিপ্রকৃতি ও আচরণ ভাল ছিল। এবার যেহেতু চট্টগ্রাম পর্ব বড় হওয়ায় বিশ্রাম মিলেছে পরিচর্যার, তাই আগামীকাল থেকে যে চারদিনের পর্ব শুরু হচ্ছে, তাতে শেরে বাংলার উইকেট আরও ভাল আচরণ করবে।
Advertisement
এ সম্পর্কে ইমরুলের ব্যাখ্যা, ‘প্রথম পর্বে উইকেট বেশ ভাল ছিল। আশা করি, এ পর্বে আরও বেটার উইকেট থাকবে। কারণ শেরে বাংলার পিচগুলো একটা বড় সময় বিশ্রাম পেয়েছে। মনে হয় উইকেট আগের মত থাকবে। আগের মত থাকলেই ভাল। তখন আমরা খেলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো। আমাদের ভাল খেলা সহজ হবে। ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলতে পারবে। বোলাররাও স্বস্তিতে থাকে। তাতে করে দর্শকরাও ভাল ক্রিকেট দেখতে পারেন। খেলা দেখে মজাও পান। কাজেই আমার আশা, আগের থেকে আরও বেটার উইকেট হবে।’
বলা হয় চাইলেই বা চেষ্টা করলেই ঢাকার উইকেটকে চট্টগ্রামের মত শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি করে তোলা সম্ভব না- আপনি কি একমত এ কথার সাথে?
এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে ইমরুল বেশি খেলা এবং উইকেটের অতি ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তার ধারণা, যেহেতু শেরে বাংলায় সারা বছর অনেক বেশি খেলা হয়, এই মাঠের ব্যস্ততা বেশি। চাপও পড়ে অনেক। তাই এ মাঠের পরিচর্য্যার সময় মেলে কম। যেটা চট্টগ্রামে নেই। অত খেলা হয় না। তাই পরিচর্যার জন্য প্রচুর সময় পাওয়া যায়। সে কারণেই উইকেট ভালো মত যত্ন করা যায়। তাতে উইকেটের আচরণও ভাল থাকে।
ইমরুলের ব্যাখ্যা, ‘আসলে ঢাকা মানে শেরে বাংলার পিচে তো অনেক বেশি খেলা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক সফরসূচীতে ব্যস্ত থাকে। আর তার চেয়ে বড় কথা, জাতীয় দলের প্র্যাকটিসও হয় এখানে। কাজেই বিশ্রাম কম পায়। চট্টগ্রামে তো আর এত খেলা হয় না, উইকেট বিশ্রামে থাকে। যে কারণে উইকেট তৈরি ও পরিচর্যার জন্য অনেক বেশি সময় মেলে। তাতে করে পিচটাকে ভাল মত প্রস্তুত করা সহজ হয়। যেটা এখানে মানে ঢাকার পিচে পাওয়া যায় না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার শেরে বাংলার উইকেট যদি চট্টগ্রামের মত পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, তাহলে হয়ত ভাল এখানকার পিচেরও আচরণ ভাল করা ও রান ওঠা সম্ভব। সেক্ষেত্রে উইকেটের বিশ্রাম জরুরী। কাজেই এবার যেহেতু প্রথম পর্বের পর এক সপ্তাহর চেয়ে বেশি সময়ের বিশ্রাম পাওয়া গেছে , তাই আমার ধারনা এবার পিচ আরও ভাল থাকবে। হয়ত প্রথম পর্বের চেয়ে আরও ভাল আচরণ করবে।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম